সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মূল চালিকাশক্তি হলো চলমান ট্রেন্ড, যা কোনো ব্যবসা বা কনটেন্ট ক্রিয়েটরের অনলাইন উপস্থিতিকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। ট্রেন্ড উপেক্ষা করলে পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। তাই শুধু প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখা নয়, দর্শকদের সঙ্গে গভীরভাবে সংযোগ স্থাপন করতেও ট্রেন্ড সম্পর্কে আপডেট থাকা অত্যন্ত জরুরি।

যেসব ব্যবসায়ী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর সময়ের আগে থেকেই ট্রেন্ডগুলো ধরতে পারেন, তারা সহজেই তাদের ফলোয়ার বাড়াতে পারেন, এনগেজমেন্টে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারেন এবং শেষপর্যন্ত নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন। টিকটকের ক্রিয়েটরদের জন্য ট্রেন্ডিং বিষয় নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করা তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
টিকটকে ট্রেন্ড খুঁজে পাওয়ার জন্য বেশ কিছু সহজ উপায় রয়েছে। প্রথমত, আপনি টিকটকের অনুসন্ধান বারে গিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছু চলমান ট্রেন্ডের পরামর্শ দেখতে পাবেন। যেসব বিষয়ের পাশে আগুনের মতো ইমোজি থাকে, সেগুলোই বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয়। সার্চ আইকনে ট্যাপ করলেই টিকটক নিজে থেকে ট্রেন্ডিং বিষয়গুলোর একটি তালিকা দেখায়।
দ্বিতীয়ত, আপনি ‘টিকটক ট্রেন্ডিং নাও’ উইজেটটি আপনার মোবাইলের হোমস্ক্রিনে যুক্ত করে নিতে পারেন। উইজেট যুক্ত করার জন্য মোবাইলের পর্দায় প্রেস করে রাখতে হবে, এরপর মেনু থেকে ‘উইজেট’ অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। এরপর ফোনের সব অ্যাপের উইজেট স্ক্রল করে টিকটকের ‘ট্রেন্ডিং নাও’ উইজেটটি খুঁজে বের করে হোমস্ক্রিনে যুক্ত করুন। এর মাধ্যমে আপনি প্রতিদিনের ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগ ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সরাসরি জানতে পারবেন।
তবে মনে রাখতে হবে, বিভিন্ন ফোনে উইজেট যুক্ত করার প্রক্রিয়া বিভিন্ন রকম হতে পারে।
তৃতীয়ত, ট্রেন্ড বোঝার সবচেয়ে প্রচলিত ও সহজ উপায় হলো ‘ফর ইউ পেজ’ (এফওয়াইপি) স্ক্রল করা। স্ক্রল করার সময় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে কোন সাউন্ড, ভঙ্গি বা আইডিয়া বারবার আসছে। মানুষ কীভাবে একটি নির্দিষ্ট কনটেন্ট কাঠামো অনুসরণ করছে, তা লক্ষ করুন এবং ব্যবহৃত সাউন্ডটির পাতায় গিয়ে দেখুন কতগুলো ভিডিও তৈরি হয়েছে এবং সেটি কত দিন ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে। এভাবে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন কোন ট্রেন্ডটি সময়মতো ধরতে হবে।
চতুর্থত, টিকটক ক্রিয়েটিভ সেন্টার ব্যবহার করা যেতে পারে, যা টিকটকের একটি অফিশিয়াল টুল। এখানে আপনি চলমান হ্যাশট্যাগ, গান, ভিডিও ও নির্মাতাদের সম্পর্কে জানতে পারবেন। শিল্পক্ষেত্র এবং সময় অনুযায়ী ফিল্টার করে দেখার পাশাপাশি সম্পৃক্ততা, জনপ্রিয়তা, অঞ্চল ইত্যাদির ভিত্তিতে বিশ্লেষণও করা সম্ভব।
এমনকি ভিডিওগুলোর পাতায় গিয়ে লাইক, মন্তব্য ও শেয়ারের সংখ্যাও দেখে নেওয়া যায়, যা আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে কোন ট্রেন্ডটি আপনার জন্য কার্যকর হতে পারে।
পঞ্চম ও শেষ উপায়টি হলো সংগীত স্ট্রিমিং তালিকাগুলো দেখা। স্পটিফাই, অ্যাপল মিউজিক ও গুগল প্লের মতো জনপ্রিয় সংগীত অ্যাপে ‘টিকটক’ লিখে অনুসন্ধান করলে জনপ্রিয় ও চলমান সাউন্ডের তালিকা দেখতে পাওয়া যায়। এই সহজ পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে টিকটক ক্রিয়েটররা সহজে ট্রেন্ড খুঁজে নিতে পারেন এবং নিজেদের কনটেন্টকে প্রাসঙ্গিক ও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



