চার মাস আগে মাদারীপুরের সুমাইয়া আক্তারের সঙ্গে টিকটকে পরিচয় হয় চীনের শি তিয়ানজির। বন্ধুত্ব থেকে সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে।
সেই প্রেমের টানে সুদূর চীন থেকে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন শি তিয়ানজি। সুমাইয়া আক্তারের সঙ্গে মুসলিম রীতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি।
রবিবার সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের মহিষেরচর গ্রামের সুমাইয়ার বাড়িতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বিয়ের পর শি তিয়ানজি মাদারীপুরে শ্বশুরবাড়িতে আছেন।
তাদের বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ভিনদেশিকে একনজর দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় করছেন পাড়ার লোকজন।
মহিষেরচর গ্রামের সাইদুর রহমানের মেয়ে মাদারীপুর সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বলেন, “শি তিয়ানজি আমাকে প্রচণ্ড ভালোবাসেন। সেই ভালোবাসার টানেই তিনি চীন থেকে বাংলাদেশে এসেছেন।
“পরিবারের সম্মতিতে মুসলিম শরিয়াহ মোতাবেক আমাদের বিয়ে হয়েছে।”
স্থানীয়রা বলছেন, চার মাস আগে টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় হয় সুমাইয়া ও শি তিয়ানজির। পরে তারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে শুরু করেন ‘উই চ্যাটে’। বন্ধুত্ব থেকে সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। গত ২৪ জুলাই বাংলাদেশে আসেন তিয়ানজি। পরে ২৭ জুলাই আদালতে মুসলিম রীতিনীতি মেনে সুমাইয়ার সঙ্গে তার বিয়ের রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়।
সুমাইয়া বলছিলেন, ভালোবাসার টানে তিনি চীনা ভাষাও শিখেছেন। ভবিষ্যতে স্বামীর সঙ্গে চীনে যাওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন তিনি।
শি তিয়ানজি বলেন, “আমি সুমাইয়াকে ভালবেসে চীন থেকে এসেছি। সুমাইয়া অনেক ভাল মেয়ে।
“বাংলাদেশের পরিবেশ আমার খুব ভাল লেগেছে। তবে এদেশে গরম অনেক বেশি। ভবিষ্যতে সুমাইয়াকে আমি চীনে নিয়ে যাবো।”
সুমাইয়ার বাবা সাইদুর রহমান বলেন, “আমার মেয়ের সঙ্গে চীনা নাগরিকের সঙ্গে প্রমের কথা জানালে আমি তাতে সম্মতি দেই। তিয়ানজি বাংলাদেশে আসার পর আমি নিজে ঢাকা গিয়ে তাকে নিয়ে আসি এবং মুসলিম রীতিতে মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেই। এখন দুইজন সুখে থাকলেই আমরা খুশি।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।