টিকিট কারসাজির অভিযোগ, ব্যবস্থা নিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিট কারসাজি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে এবং এর জন্য কোম্পানিটি বেশ সমালোচিত হচ্ছে। তবে বর্তমানে বিমান বাংলাদেশের সিট বুকিং, টিকেট ব্লকিং শূন্যে অবস্থান করছে। এরকমটাই জানিয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাফিকুর রহমান।

কুর্মিটোলায় বিমান সদর দপ্তরে জার্নালিস্ট ফোরামের সঙ্গে যখন কথা হয় তখন এসব কথা জানান তিনি। সাফিকুর রহমান সেসকল অভিযুক্তদের বিভাগ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত যারা টিকিট নিয়ে কারসাজি করেছে। তবে সিডিউল অনুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনা করতে কোন সমস্যা হচ্ছে না।

এ নিয়ে যাত্রীদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। তাদের বহরে পর্যাপ্ত এয়ারক্রাফ্ট রয়েছে এবং তা দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে। এটা খুবই স্বাভাবিক যে হজের মৌসমে এয়ারক্রাফট এর চাহিদা বেশি থাকবে। অন্যরুটে ফ্লাইট সংখ্যা কমানোর কথা বিবেচনা করছেন তারা।

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন গন্তব্যের ফ্লাইটের টিকেট ব্লকিং ও কৃত্রিম মজুদের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিমান এমডি বলেন, ‘বিমানে বর্তমানে আগাম সিট বুকিং বা টিকেট ব্লকিং শূন্যের কোঠায়। বিষয়টি আমি নিজে মনিটরিং করি। এটা নিয়ে আগে কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। অভিযুক্তদের টিকেটিংয়ের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অন্য বিভাগে পাঠানো হয়েছে।’

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যাগেজ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যাগেজ ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করার চেষ্টা করছি। ব্যাগেজের বিষয়ে কোন অভিযোগ আসলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে আমলে নিয়ে কাজ করি। তবে আমাদের অবকাঠামোগত কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আশা করি তৃতীয় টার্মিনালের অপারেশন শুরু হলে ব্যাগেজ ব্যবস্থাপনা আরও ভালো হবে।’

সাফিকুর রহমান বলেন, ‘ব্যাগেজ ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিমানকর্মীদের গায়ে বডিওর্ন ক্যামেরা থাকে। ব্যাগেজ হ্যান্ডেলিংয়ের ডিউটিতে প্রবেশে সময় তারা ক্যামেরা লাগায়। ডিউটি শেষে ফেরার সময় তারা ক্যামেরা ফেরত দেয়। নজরদারি বাড়াতে নতুন আরও ১৫০ টি ক্যামেরা কেনা হয়েছে।’

এতে করে হজ পরিচালনা করতে বেগ পেতে হবে না। তারা এ ব্যাপারে নিশ্চিত যে, যারা হজ করার জন্য সৌদি আরব যেতে চান তারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে নির্বিঘ্নে হজ পালন করতে পারবেন। বিমানকে যেন আরো যাত্রীবান্ধব করা যায় সেজন্য তারা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।