আদিম যুগ থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত অনেক প্রাণীর পরিবেশের সাথে খাপ-খাইয়ে নেওয়ার স্বার্থে শারীরিক গঠন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন এসেছে। দুনিয়ার প্রাণীকুলের এ বিবর্তন ও বৈচিত্র্যতা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
বর্তমান বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন একটি বড় সমস্যা। অত্যাধিক তাপমাত্রায় প্রাণীকুলের টিকে থাকার স্বার্থে তাদের শারীরিক গঠনে বিবর্তন আসতে পারে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে অনেক প্রজাতির তাদের ঠোঁট-কান সহ উপাঙ্গের আকারের পরিবর্তন ঘটছে।
গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমন এবং মানব কর্মকান্ডের ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ১০০ বছরের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৪ থেকে ৫.৮° সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
ক্রমান্বয়ে এ তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষ সহ প্রাণীকুলের বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। উষ্ণ রক্তের প্রাণীদের জন্য এ উষ্ণতা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তাদের টিকে থাকার জন্য শীতল এলাকায় স্থানান্তর হতে হচ্ছে।
আবার যেসব প্রাণী ঠান্ডা আবহাওয়া পছন্দ করে না তাদের একটু উষ্ণ এলাকায় স্থানান্তর হতে হচ্ছে। আবহাওয়া এবং জলবায়ুর সাথে খাপ-খাইয়ে নেওয়ার জন্য শারীরিক গঠন পরিবর্তন করে ফেলতে হচ্ছে।
পশু ও পাখির বাইরের তাপমাত্রার সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজেদের শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন পড়ে। উদাহরণ হিসেবে আফ্রিকার হাতির কথা বলা যেতে পারে। হাতির কানে সব সময় উষ্ণ রক্ত সরবরাহের প্রয়োজন হয়। বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে জানায় যে পাখির দেহের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে রক্তের প্রবাহ ঠোঁটের দিকে যায়।
আকারে বড় প্রাণীরা উষ্ণ স্থানে টিকে থাকতে পারে। আবার যেসব প্রাণীর আকার ছোট তারা ঠান্ডা আবহাওয়ায় টিকে থাকতে পারে। এজন্য যেসব স্থানে গরম বেশি পড়ে সেখানে প্রাণীর উপাঙ্গের আকৃতি বৃদ্ধি পাওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়।
গবেষণায় দেখা যায় পাখির ঠোঁটের আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার তোতা পাখির কথা বলা যেতে পারে।
রাউন্ডলিফ নামক বিশেষ প্রজাতির বাদুড়ের ডানার আকার ১.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আসলে জলবায়ু সংকট পৃথিবীর প্রাণীকুলের উপর অনেক চাপ সৃষ্টি করছে। তাদের বেঁচে থাকা বা টিকে থাকার স্বার্থে শারীরিক আকৃতি পরিবর্তন সংক্রান্ত বিবর্তন ঘটছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।