জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের মনিরামপুরে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছে ১৬ বছর বয়সী কলেজপড়ুয়া এক ছাত্রী। উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের মনিরামপুর গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে ফিরোজ কবির (২৫) এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা যায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ফিরোজ ওই কলেজছাত্রীর প্রতিবেশী এবং সম্পর্কে মামা। ফিরোজ কবির প্রায়ই তাকে প্রেম ভালোবাসার প্রস্তাব দিতেন। একপর্যায়ে ভালোবাসায় রাজি হয় ওই কলেজছাত্রী। প্রেম ভালোবাসা চলাকালীন একপর্যায়ে ছাত্রীটি ফিরোজ কবিরের বাড়িতে টিভি দেখতে যেত। সেই সুযোগে মেয়েটিকে তিনি একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
সবশেষে গত ১০ জুলাই বেলা ১১টার দিকে ফিরোজ কবিরের বাড়িতে টিভি দেখতে গেলে তিনি আবার তাকে ধর্ষণ করে। পরে ফিরোজ কবিরকে বিয়ের কথা বলে মেয়েটি। কিন্তু ফিরোজ কবির তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন এমনকি তার সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে তোলা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখান। তখন ছাত্রীটি তার পরিবারের কাছে ঘটনা জানায়।
পরবর্তীতে গত ৫ অক্টোবর ওই ছাত্রী বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় ফিরোজ কবিরকে আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগ করে একটি মামলা দায়ের করে। অভিযুক্ত ফিরোজ কবিরের পরিবারের সদস্যরা জানান, অভিযোগকারী ছাত্রীর সঙ্গে তাদের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে সুসম্পর্ক ছিল। তারা প্রায় সময় টাকা ধার নিত এবং সময়মতো ফেরত দিত। তবে কিছুদিন আগে তাদের জমি বিক্রি করার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে বেশকিছু টাকা নেয়। পরে তা অস্বীকার করার কারণে তাদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
টাকার বিষয় নিয়ে গ্রামে সালিসের ব্যবস্থা করা হলে কলেজছাত্রীর পরিবারের লোকজন বিতর্ক করে চলে যায়। পরে তারা আমাদের সুদের ব্যবসায়ী বলে পাঁচজনের নামে মিথ্যা মামলা দেয়। এমনকি আমাদের ছেলে ফিরোজ কবিরকে ফাঁসানোর জন্য মেয়েটি ধর্ষণ মামলা দিয়েছে। নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অশোক কুমার চৌহান জানান, থানায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন এবং আসামি গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।