জুমবাংলা ডেস্ক : আসন্ন বেসিস নির্বাচনে ‘টিম স্মার্ট’ নামে একটি প্যানেলকে সমার্থন দিয়ে আক্রমণের শিকার হয়েছেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি মাহবুব জামান। সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলগুলোর প্রার্থীদের কাছ থেকেই এই আক্রমন আসছে।
এমন কি বেসিস মেম্বার্স প্ল্যাটফর্ম নামে ফেসবুকের যে ক্লোজড গ্রুপে তিনি তার মতামত তুলে ধরে ছিলেন সেখান থেকে তাকে রিমুভও করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে সোরগরম আলোচনা চলছে। আসন্ন ভোটে এর প্রভাব পড়বে বলে মনেকরেন অনেকে।
গত শনিবার বেসিস মেম্বার্স প্ল্যাটফর্ম গ্রুপে সংগঠনের ২০১০-১২ কমিটির সভাপতি মাহবুব জামানের সঙ্গে এমন অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে।
আগামী বুধবার ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
পরিস্থিতি সামলাতে এখন বেসিসের বর্তমান কমিটির সভাপতি ও অন্যান্য পরিচালকদেরকে দুঃখ প্রকাশ করে এর সমালোচনা করতে হচ্ছে। কিন্তু ভোটাররা বলছেন, যাদের চক্রান্তে মাহবুব জামানকে অপমান করা হয়েছে তারাই এখন মায়া কান্না দেখাচ্ছেন।
দেশের তথ্য প্রযুক্তিখাতে অনেক নতুনত্বের জন্ম দেওয়া মাহবুব জামান সেদিন বেসিস মেম্বার্স প্ল্যাটফর্ম গ্রুপে লেখেন – গত কয়েক দিনে তিনি অনেক টেলিফোন পাচ্ছেন যেখানে সবাই জানতে চান তিনি ‘কোন পক্ষ’ নিলেন।
তার লেখায় সুস্পস্ট হয়ে ওঠে, প্রতিদ্বন্দ্বী সব পক্ষের সঙ্গে তার খুবই পরিচিত ও ঘনিষ্ট। তবে অত্যন্ত প্রিয়জন এবং কয়েকজন আবার স্নেহভাজন আছেন। এমন কি তিনি এও বলেন যে, টিম স্মার্ট তার কাছে আসেনি, বরং তিনিই টিম স্মার্টের কাছে গিয়েছেন।
এর কয়েকটা কারণ ব্যাখ্যা করেন মুক্তিযোদ্ধা এই সাবেক ছাত্র নেতা। প্রথম কারণ হিসেবে তিনি বলেন, টিম স্মার্টের অধিকাংশই বয়সে তরুণ – যেটা অনেকে মনেকরেন তাদের দূর্বলতা। তবে সাবেক এই পোড় খাওয়া নেতা মনেকরেন, তার বিবেচনায় এটাই টিম স্মার্টের বড় সবলতা।
“এই প্যানেলের সবাই ইন্ড্রাস্ট্রির প্রতিদিনের কাজের সাথে যুক্ত আছে। ফলে সমস্যাগুলোকে এরা ভালো বোঝে” – এটাকে দ্বিতীয় কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
মাহবুব জামান বলেন, এই প্যানেলটির সবাই কাটিং এজ টেকনোলজির প্রতিটি ফিল্ডে কাজ করছে। এআই, আইওটি, ডেটা অ্যানালিসিস, রোবটিক্স এমন নানান উন্নততর প্রযুক্তি এদের কাজের ক্ষেত্র।
এমন পোস্ট দেওয়ার পরে বেসিস মেম্বার্স প্ল্যাটফর্ম গ্রুপের অ্যাডমিন থেকে বেসিসের এই সিনিয়র নেতাকে রিমুভ করে দেওয়া হয়। এমনকি তার পোস্টও রিমুভ করে দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে বেসিস মেম্বার্স প্ল্যাটফর্ম গ্রুপে নানান মতামত আসতে থাকে। পরে বেসিসের বর্তমান কমিটির কেউ কেউ বিষয়টা নিয়ে দুঃখ প্রকাশও করেন।
তিনি সচেতন ভোটারা বলছেন, মাহবুব জামানকে অপমান করার বিষয়টি ইচ্ছাকৃত। এখন দুঃখ প্রকাশ আসলে লোক দেখানো মায়া কান্না ছাড়া আর কিছুই নয়।
সূত্র জানিয়েছে, ঘটনার জন্যে দুঃখ প্রকাশ করে রোববার মাহবুব জামানকে ফোনও করেছিল বেসিসের সেক্রেটারিয়েট।
তবে এ বিষয়ে মাহবুব জামান আর কোনো মন্তব্য করতে চান না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।