আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার উদ্দেশ্যে ডুবোযান টাইটানে সমুদ্রের তলদেশে যাত্রা করেছিলেন পাঁচ আরোহী। তবে শেষপর্যন্ত আর ফিরে আসা হয়নি তাদের বরং নিজেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে টাইটান। যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড ধারণা করছে ‘ভয়ংকর বিস্ফোরণে’ ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে টাইটান।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা রিয়ার এডমিরাল জন মাগার বলেন, টাইটানের ৫টি বড় টুকরো পাওয়া গেছে। ধ্বংসস্তূপের যে চিত্র পাওয়া গেছে তা ‘বিপর্যকর বিস্ফোরণের’ সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
গবেষকরা ধারণা করছেন, অত্যধিক দ্রুতগতির এই যানটি জলের চাপ সহ্য করতে পারেনি। আর এরফলে সাবমেরিনের ভিতর বিকট বিস্ফোরণ হয়। যদিও যানটির এই চাপ সহ্য করার ক্ষমতা নিশ্চিত হয়েই যাত্রায় পাঠানো হয়েছিল তবে শেষপর্যন্ত বহির্ভাগের কোনও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই চাপ নিতে পারেনি খুদে সাবমেরিন।
তথ্য অনুযায়ী, আটলান্টিক মহাসাগরের ১২ হাজার ৪০০ ফিট নীচে ঠিক যে জায়গায় টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে, সেখানেই বিস্ফোরণ হয় এই সাবমেরিনেরও। সমুদ্রের গভীরে ঠিক ওই অংশে জলের চাপ ছিল প্রায় ৬ হাজার পাউন্ড প্রতি স্কোয়্যার ইঞ্চি। মহাসাগরের ১২ হাজার ৪০০ ফিট নীচে ঠিক যে জায়গায় টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে, বিস্ফোরণের জেরে তারও গভীরে ছিটকে গিয়েছে এই খুদে সাবমেরিন।
এদিকে ওয়াশিংটনের সংস্থা ওশেনগেট এর এই পর্যটন ডুবোজাহাজ ‘টাইটান’ নিয়ে কয়েক বছর আগেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন সংস্থার CEO স্টকটন রাশ। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম ভেঙেই ওই সাবমেরিন চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। তিনি বলেন, এই অভিযানের জন্য নিয়ম ভাঙতেই হত। আর সেটা আমি করেছি। কোথায় কোথায় নিয়ম ভাঙব, সেটা যুক্তি আর ইঞ্জিনিয়ারিং বুদ্ধি দিয়ে ভেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এছাড়া, সম্প্রতি এই টাইটান সাবমেরিন নিয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন ওশেনগেটের মেরিন অপারেশনের প্রাক্তন ডিরেক্টর ডেভিড লচরিজ। তাঁর বক্তব্য, সাবমেরিনের বহির্ভাগের কার্বন ফাইবার সঠিকভাবে পরীক্ষিত নয়।
এসব কারণে দুর্ঘটনার পর অনেকেই মন্তব্য করছেন এ দুর্ঘটনার দায় ওশেনগেট এড়াতে পারে না। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে সংস্থাটির শাস্তির দাবিও তুলেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।