বাংলাদেশের কাছ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। ইউরোপ চাচ্ছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প যেন পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব হয়। এ বিষয়ে তারা দিন দিন কঠোর হচ্ছে। টেকসই জ্বালানির ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে তারা শীঘ্রই পদক্ষেপ নিচ্ছে।
বাংলাদেশকে যদি এখনই নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার না বাড়ায় তাহলে ভবিষ্যৎ এ ঝামেলা পোহাতে হবে। ঢাকায় সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশের ‘ইনস্পায়ার’ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এখানে দ্রুত জ্বালানি রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয়।
অনুষ্ঠানে সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির (সিডা) মহাপরিচালক জ্যাকব গ্রানিট বলেন, ইউরোপের কঠোর পরিবেশগত নীতিমালা মেনে চলতে হলে তৈরি পোশাক খাতকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর করতে হবে।
সিডার ট্রেড প্রাইভেট সেক্টর ও ফাইন্যান্সিয়াল ইন্সট্রুমেন্টস বিভাগের প্রধান কিয়েল ফোর্সবার্গ বলেন, শুধু সরকারি তহবিল দিয়ে পোশাক খাতে পরিবেশবান্ধব রূপান্তর আনা সম্ভব নয়। নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ আনতে হলে বেসরকারি অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে এবং ঝুঁকি কমাতে হবে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২৩ অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাত দেশের জিডিপিতে ১০.৩৫% অবদান রেখেছে এবং ৪৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করেছে। তবে এ খাত এখনো দেশের মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ১৫.৪% এর জন্য দায়ী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।