স্পোর্টস ডেস্ক: টেনিসে আরেকটি মহারণ দেখলো গোটা বিশ্ব। ফ্রেঞ্চ ওপেনে বিশ্বের এক নম্বর নোভাক জোকোভিচকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রাফায়েল নাদাল। খবর ডয়চে ভেলে’র।
চার ঘণ্টা ১২ মিনিট ধরে লড়াই হলো। জোকোভিচ ও নাদাল এই সময়ের সেরা দুই টেনিস প্লেয়ার। তবে জোকোভিচ পুরো ফিট ছিলেন। আর নাদাল চোট-আঘাতে বিপর্যস্ত। তার উপর নাদাল খেলতে চেয়েছিলেন দিনের আলোয়। কিন্তু ম্যাচ দেয়া হয়েছিল রাত নয়টায়।
তারপরেও খেলতে নামার পর দেখা গেল অন্য নাদালকে, যাকে বলা হয় ক্লে-কোর্টের মহারাজা। ৬-২, ৪-৬, ৬-২, ৭-৬-এ তিনি হারালেন জোকোভিচকে।
দুইজনেই এই সময়ের প্রধান টেনিস প্লেয়ার। তাদের সঙ্গে আছে অনবদ্য সাফল্যের কাহিনি। অন্তত ২০টি করে গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব জয়। ফলে তাদের এই ম্যাচ ঘিরে টেনিসপ্রেমীদের উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে।
প্রথম সেটে জোকোভিচকে দাঁড়াতে দেননি নাদাল। একবার নিজের সার্ভিসে ডিউস হওয়ার পর তিনবার অ্যাডভান্টেজ পয়েন্টে এগিয়ে যান জোকোভিচ। তিনবারই নাদাল পরের পয়েন্ট জিতে ডিউস করেন। শেষপর্যন্ত জোকোভিচের সার্ভিস ভাঙেন নাদাল। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, ফর্মে থাকলে ক্লে-কোর্টে তাকে হারানো অসম্ভব। চোট উপেক্ষা করে যেভাবে নাদাল কোর্ট জুড়ে খেলেছেন, অসাধারণ রিটার্ন শট মেরেছেন তার তুলনা নেই।
দ্বিতীয় সেটে নাদাল ৩-০-তে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু তারপর লড়াই করে জোকোভিচ সেটটি ৬-৪-এ জিতে নেন। কিন্তু তৃতীয় সেটে নাদাল আর জোকোভিচকে দাঁড়াতে দেননি। চতুর্থ সেটে আবার জোকোভিচ এগিয়ে গিয়েছিলেন ৩-০ গেমে। কিন্তু এবার নাদাল অসাধারণ খেলে সেট টাইব্রেকারে নিয়ে যান এবং জেতেন।
সেমিফাইনালে উঠলেন নাদাল। একটা স্বপ্নের ম্যাচ খেললেন। এরপর তিনি জিতবেন কি না সেটা অন্য প্রশ্ন। তার থেকে বড় প্রশ্ন হলো, ক্লে-কোর্টের মহারাজা কি ফরাসি ওপেনে শেষবারের মতো খেলছেন?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।