Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home টেনিসে নতুন প্রতিভা: ভবিষ্যতের তারকারা যারা বিশ্বজয়ে তৈরি!
    খেলাধুলা ডেস্ক
    অন্যান্য খেলাধুলা

    টেনিসে নতুন প্রতিভা: ভবিষ্যতের তারকারা যারা বিশ্বজয়ে তৈরি!

    খেলাধুলা ডেস্কTarek HasanJuly 14, 202510 Mins Read
    Advertisement

    বাতাসে টেনিস বলের মিষ্টি শব্দ, রোদে ঝলমলে কোর্ট, আর একঝাঁক তরুণ-তরুণীর অবিশ্বাস্য প্রতিজ্ঞা – যেন ভবিষ্যতের উজ্জ্বল নক্ষত্রদের আগমনী বার্তা! মনে পড়ে যায় সেই দিনগুলোর কথা, যখন ফেডারার-নাদাল-জোকোভিচের জয়রথ শুরু হয়েছিল অল্প বয়সেই। আজও, গ্লোবাল টেনিস অ্যাকাডেমি থেকে শুরু করে ঢাকার রমনা গ্রীন টেনিস কমপ্লেক্সের মাটি পর্যন্ত, জন্ম নিচ্ছে একের পর এক নতুন প্রতিভা। যাদের র্যাকেটের ঝনঝনানি, ফুটওয়ার্কের তীব্র গতি আর ম্যাচ পয়েন্টে অদম্য মানসিকতা দেখে বিশ্বের টেনিস বিশেষজ্ঞরা একবাক্যে স্বীকার করছেন: টেনিসে নতুন প্রতিভার জোয়ার এসেছে! এরা শুধু খেলছে না, পুরনো সংজ্ঞাকেই পাল্টে দিচ্ছে। এরা শুধু মাঠে নামছে না, ইতিহাস লেখার জন্য তৈরি হচ্ছে। কে এই নবীন যোদ্ধারা? কী তাদের সাফল্যের গল্প? আর কেনই বা টেনিস বিশ্ব আজ তাদের দিকে তাকিয়ে আশায় উজ্জ্বল?

    টেনিসে নতুন প্রতিভা

    টেনিসে নতুন প্রতিভা: রূপকথার চেয়েও বাস্তব এক জয়গাথা

    টেনিস ইতিহাসে নতুন তারকাদের উত্থান নতুন কিছু নয়। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের টেনিসে নতুন প্রতিভাদের উত্থানের গতি, গভীরতা এবং বৈচিত্র্য সত্যিই অভূতপূর্ব। এরা শুধু জুনিয়র সার্কিটে দাপট দেখাচ্ছে না, সিনিয়র ট্যুরে এসেই বড় বড় খেতাব জিতে নিতে শুরু করেছে, স্থাপন করছে নতুন মাইলফলক। ২০২৩ এবং ২০২৪ সাল জুড়ে এদের আলোচনা স্পোর্টস মিডিয়ার শিরোনামে প্রাধান্য পেয়েছে। যেমনটি বলেছেন রেনে স্টাবস, প্রাক্তন ডাবলস নম্বর ১ এবং বর্তমান বিশ্লেষক: “এটা শুধু একজন বা দুজনের কথা নয়। এটা একসঙ্গে এক ঝাঁক তারকার আবির্ভাব। এরা শারীরিকভাবে অসম্ভব ফিট, টেকনিক্যালি নিখুঁত, এবং মানসিকভাবে এমন শক্ত যে সিনিয়র ট্যুরের চাপ তাদের থামাতে পারছে না। এরা আসলেই ‘টেনিসে নতুন প্রতিভা’র সংজ্ঞাকে পুনর্ব্যাখ্যা করছে।” (WTA Tour সাক্ষাৎকার থেকে উদ্ধৃত)।

    কী দিয়ে আলাদা এই নতুন জেনারেশন?

    • অভূতপূর্ব অ্যাথলেটিসিজম: কার্লোস আলকারাজের বাজপাখির মতো কোর্ট কভারেজ, ইগা সোয়াতেকের দুরন্ত গতি, কিংবা বেঞ্জামিন শেলটনের প্রায় ১৫০ মাইল প্রতি ঘণ্টার সার্ভ – এরা শারীরিক সীমাকে চ্যালেঞ্জ করছে প্রতিপালে। আধুনিক প্রশিক্ষণ পদ্ধতি, স্পেশালাইজড ফিটনেস কোচিং এবং শৈশব থেকেই অ্যাথলেটিক ডেভেলপমেন্টের ওপর জোর দিলে যা সম্ভব।
    • টেকনিক্যাল ইনোভেশন: এরা শুধু শক্তিশালী নয়, অসম্ভব রকমের কারিগরী দক্ষ। দুইহাতি ব্যাকহ্যান্ডের পাশাপাশি বিপজ্জনক ওয়ান-হ্যান্ডেড ব্যাকহ্যান্ডের পুনরুত্থান (হোলগার রুনে, লোরেন্তো মুসেট্টি), নেটে অ্যাডভান্স করার সাহসী মানসিকতা (কোকো গফ, জেনি ওয়াং), এবং সার্ভ-ভলির জটিল কম্বিনেশনে দক্ষতা (জেসিকা পেগুলা) দেখাচ্ছে। এরা ‘অল-কোর্ট প্লেয়ার’ হওয়ার গুরুত্ব বোঝে।
    • লৌহ মানসিকতা: বয়স কম, কিন্তু ম্যাচ পয়েন্টে ঠান্ডা মাথার পরাকাষ্ঠা দেখাচ্ছে। ২০২৪ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চায়না’র কিনিন ঝেং-এর নার্ভাস ফাইনালে জয় কিংবা জাপানের নাওমি ওসাকা’র মাতৃত্বের পর ক্যামব্যাকে লড়াইয়ের ইচ্ছা – মানসিক কঠোরতা এদের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। স্পোর্টস সাইকোলজির ব্যবহার এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে।
    • গ্লোবাল ডাইভার্সিফিকেশন: টেনিসে নতুন প্রতিভা আর শুধু ইউরোপ বা উত্তর আমেরিকার মোনোপলি নয়। চায়না (ঝেং, ঝাং ঝিলিন), জাপান (ওসাকা, নিশিওরি), দক্ষিণ কোরিয়া (সোন উক), আর্জেন্টিনা (ফ্রান্সিসকা সেরোগুজো, মারিয়ানো নাভোন), চেক রিপাবলিক (লিন্ডা নস্কোভা), ডেনমার্ক (হোলগার রুনে) সহ বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসছে তারা। আইটিএফ’র জুনিয়র সার্কিট ও ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের সাফল্যের এটা বড় প্রমাণ (International Tennis Federation).

    ভবিষ্যতের তারকাদের তালিকায় যাদের নাম জ্বলজ্বল করছে:

    খেলোয়াড়ের নামদেশবয়স (আনুমানিক)উল্লেখযোগ্য অর্জন (২০২৩-২০২৪)বিশেষ বৈশিষ্ট্য
    কার্লোস আলকারাজস্পেন২১২x গ্র্যান্ডস্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন (US Open ’22, Wimbledon ’23), বহু মাস বিশ্ব নম্বর ১অবিশ্বাস্য গতি, অ্যাথলেটিসিজম, অ্যাটাকিং ফোরহ্যান্ড
    ইগা সোয়াতেকপোল্যান্ড২৩৪x ফ্রেঞ্চ ওপেন চ্যাম্পিয়ন, বহু মাস বিশ্ব নম্বর ১অদম্য ফাইটিং স্পিরিট, ক্লে-কোর্ট মাস্টারি
    কোকো গফমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র২০US Open ’23 চ্যাম্পিয়ন, WTA ফাইনালস ’23 রানার-আপবাজপাখির গতি, উন্নতমানের নেট প্লে, মানসিক দৃঢ়তা
    জেনি ওয়াংচীন২৬WTA টাইটেল, শীর্ষ ১০-এ প্রবেশ (২০২৪)আগ্রাসী বেসলাইন গেম, শক্তিশালী গ্রাউন্ডস্ট্রোক
    হোলগার রুনেডেনমার্ক২১ATP টাইটেল, শীর্ষ ১০-এ প্রবেশ (২০২৪), বাভারিয়ান ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ননান্দনিক ওয়ান-হ্যান্ডেড ব্যাকহ্যান্ড, অল-কোর্ট দক্ষতা
    কিনিন ঝেংচীন২১অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ’24 চ্যাম্পিয়ন (WTA)শক্তিশালী ও নিখুঁত বেসলাইন, চাপ সামলানোর ক্ষমতা
    মিররা আন্দ্রেয়েভারাশিয়া১৭WTA ফাইনালে পৌঁছানো, জুনিয়র গ্র্যান্ডস্ল্যাম চ্যাম্পিয়নপরিপক্ক খেলা, শক্তিশালী ফোরহ্যান্ড, উচ্চ সম্ভাবনা
    লুকা ভ্যান অ্যাস্চেবেলজিয়াম২৪শীর্ষ ২০-এ প্রবেশ (২০২৪), ATP টাইটেল জয়শক্তিশালী সার্ভ, আগ্রাসী ফোরহ্যান্ড

    প্রতিভা গড়ে তোলার আধুনিক রেসিপি: শুধু র্যাকেটেই নয়, বিজ্ঞানেও

    এই টেনিসে নতুন প্রতিভারা আকাশ থেকে পড়েনি। তাদের পেছনে কাজ করেছে এক সুপরিকল্পিত, বৈজ্ঞানিক এবং অত্যন্ত বিনিয়োগবহুল ইকোসিস্টেম। সাফল্যের এই ফর্মুলা গভীরভাবে বোঝা জরুরি, বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দেশে যেখানে ক্রীড়া অবকাঠামো ও বিনিয়োগ চ্যালেঞ্জিং।

    • বিজ্ঞানভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও স্কাউটিং: গ্লোবাল টেনিস ইনস্টিটিউটগুলো এখন ডেটা অ্যানালিটিক্স, বায়োমেকানিক্স এবং জেনেটিক্সের দিকে ঝুঁকছে। খেলোয়াড়দের প্রতিটি শট, প্রতিটি পদক্ষেপ, এমনকি হৃদস্পন্দন ও পেশীর ক্লান্তিও বিশ্লেষণ করা হয় সফটওয়্যার দিয়ে। শৈশবেই বিশেষ বৈশিষ্ট্য (সার্ভ স্পিড, ফুটওয়ার্ক, হ্যান্ড-আই কো-অর্ডিনেশন) চিহ্নিত করে সেভাবেই তাদের গড়ে তোলা হয়। স্পেনের হুয়ান কার্লোস ফেরেরো একাডেমি (আলকারাজের কোচ) বা প্যাট্রিক মোরাটোগ্লু টেনিস একাডেমি (সেরেনা উইলিয়ামস, ওসাকা) এটির উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
    • স্পেশালাইজড কোচিং টিম: এখন শুধু একজন হেড কোচ নয়। একজন শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়ের পেছনে কাজ করেন ফিটনেস কোচ, পুষ্টিবিদ, স্পোর্টস সাইকোলজিস্ট, ফিজিওথেরাপিস্ট, ম্যাসাজ থেরাপিস্ট, এমনকি ডেটা অ্যানালিস্টের পুরো একটি দল। যেমন, ইগা সোয়াতেকের দলে তার পিতা ছাড়াও একজন প্রধান কোচ, ফিটনেস ট্রেনার এবং সাইকোলজিস্ট সদা সক্রিয়। এই সমন্বিত প্রচেষ্টাই তাদের শীর্ষে থাকতে সাহায্য করে।
    • জুনিয়র সার্কিটের গুরুত্ব: আইটিএফ জুনিয়র সার্কিট এবং জুনিয়র গ্র্যান্ডস্ল্যাম টুর্নামেন্টগুলো ভবিষ্যতের তারকাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। এখানে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার স্বাদ পায় তারা, শেখে ভিন্ন ভিন্ন কোর্টের (গ্রাস, ক্লে, হার্ড) খেলা, এবং তৈরি হয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের মানসিক চাপ সামলানোর জন্য। আলকারাজ, সোয়াতেক, গফ – সবারই জুনিয়র পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য ছিল।
    • স্পন্সরশিপ ও আর্থিক ব্যাকআপ: উচ্চ পর্যায়ের টেনিস খেলা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। বিশ্বমানের কোচিং, ভ্রমণ, থাকা-খাওয়া, গিয়ার – সব মিলিয়ে বছরে লাখ লাখ ডলার খরচ হয়। শক্তিশালী স্পন্সরশিপ (র্যাকেট ব্র্যান্ড, পোশাক ব্র্যান্ড, অন্যান্য কর্পোরেট) এবং ধনী পরিবারের সমর্থন ছাড়া এই স্তরে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব। তবে, কিছু দেশের জাতীয় ফেডারেশন (যেমন ফরাসি টেনিস ফেডারেশন) প্রতিভাবানদের বৃত্তি ও আর্থিক সহায়তা দেয়।

    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট: আমাদের দেশেও টেনিসে নতুন প্রতিভার সন্ধান চলছে। বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশন (বিটিএফ) নিয়মিত জুনিয়র টুর্নামেন্ট আয়োজন করে, জাতীয় ক্যাম্প পরিচালনা করে। রমনা, সাভার, সোনারগাঁওয়ে টেনিস কমপ্লেক্স আছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মানের কোচিং স্টাফের অভাব, আধুনিক ট্রেনিং সুবিধার (বায়োমেকানিক্স ল্যাব, ইন্ডোর হার্ড/ক্লে কোর্ট) অভাব, পর্যাপ্ত আর্থিক বিনিয়োগ ও স্পন্সরশিপের সংকট এবং বিদেশে উচ্চপর্যায়ের প্রতিযোগিতায় নিয়মিত অংশগ্রহণের সুযোগের স্বল্পতা বড় বাধা। এগুলো দূর করতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব এবং কর্পোরেট স্পন্সরশিপের বাড়তি মনোযোগ দরকার।

    চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা: শিনজুর ভাঙার গল্প

    টেনিসে নতুন প্রতিভাদের পথচলা মোটেও গোলাপের নয়। একদিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, অন্যদিকে মেন্টাল প্রেশার এবং শারীরিক চাপ – সব মিলিয়ে চ্যালেঞ্জের শেষ নেই।

    • অবিরাম ভ্রমণ ও শারীরিক চাপ: এটিপি/ডব্লিউটিএ ট্যুর মানে বছরের অধিকাংশ সময় হোটেল, বিমানবন্দর আর টেনিস কোর্টে কাটানো। ভিন্ন ভিন্ন টাইম জোন, জলবায়ু ও খাবারের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া, একের পর এক টুর্নামেন্টে খেলা – শরীর ও মনে প্রচণ্ড চাপ তৈরি করে। ইনজুরি (হাঁটু, কাঁধ, কোমর) এই প্রজন্মের জন্য বড় হুমকি। আলকারাজ বারবার পেশীতে আঘাত পেয়েছেন, রাফায়েল নাদালের ক্যারিয়ারই প্রায় শেষ হয়ে গেছে ক্রনিক পায়ের সমস্যায়।
    • মানসিক চাপ ও প্রত্যাশার বোঝা: অল্প বয়সে সাফল্য আসার সাথে সাথে আসে প্রচণ্ড প্রত্যাশা ও মিডিয়া চাপ। সামাজিক মাধ্যমের যুগে সমালোচনা আর ট্রোলিংয়ের মুখোমুখিও হতে হয়। নাওমি ওসাকা স্পষ্টভাবে তার মানসিক স্বাস্থ্যের চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেছেন এবং ক্যারিয়ার থেকে বিরতি নিয়েছেন। সিমোনা হালেপও উদ্বেগের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। শীর্ষে থাকতে হলে শুধু শারীরিক নয়, মানসিক ভাবেও অত্যন্ত শক্ত হতে হয়।
    • প্রতিদ্বন্দ্বিতার তীব্রতা: আগে শীর্ষে ৪-৫ জন প্রভাবশালী খেলোয়াড় থাকতেন। এখন শীর্ষ ৫০-এর ভেতরই যে কেউ যে কাউকে হারাতে পারে। এই গভীরতা (Depth) চমৎকার দর্শকদের জন্য, কিন্তু খেলোয়াড়দের জন্য প্রতিটি ম্যাচই যুদ্ধের মতো। ছোট টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডেও অসম্ভব রকমের কঠিন প্রতিপক্ষ পেতে পারেন।
    • ভারসাম্য রক্ষার সংগ্রাম: খেলা, প্রশিক্ষণ, ভ্রমণ, মিডিয়া দায়িত্ব, স্পন্সর ইভেন্ট এবং ব্যক্তিগত জীবন – এই সবকিছুর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা অসম্ভব প্রায়। বিশেষ করে কিশোর-তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য, যাদের শৈশব বা কৈশোরের স্বাভাবিক সময় অনেকটাই কোর্টেই কাটে।

    কীভাবে মোকাবিলা করে এই নবীনরা?

    • শক্তিশালী সাপোর্ট সিস্টেম: পরিবার, বন্ধু এবং বিশ্বস্ত কোচিং টিমের অবিচল সমর্থন অমূল্য। আলকারাজের সাফল্যের পেছনে তার পরিবারের ভূমিকা সর্বজনবিদিত।
    • স্পোর্টস সাইকোলজির ব্যবহার: মানসিক প্রশিক্ষক (Mental Coach) এখন শীর্ষ খেলোয়াড়দের টিমের অপরিহার্য অংশ। ভিজুয়ালাইজেশন, মাইন্ডফুলনেস, প্রেশার ম্যানেজমেন্ট টেকনিক শেখানো হয়।
    • কঠোর নিয়মানুবর্তিতা: খাদ্যাভ্যাস, ঘুম, প্রশিক্ষণ এবং পুনর্বাসন (Recovery) – প্রতিটি ক্ষেত্রে কঠোর শৃঙ্খলা বজায় রাখা সাফল্যের পূর্বশর্ত। নভাক জোকোভিচের গ্লুটেন-মুক্ত ডায়েট এবং যোগব্যায়ামের প্রতি নিষ্ঠা প্রসিদ্ধ।
    • দীর্ঘমেয়াদী ভিশন: শর্টকাটে সাফল্য ধরে রাখা যায় না। ইনজুরি থেকে ফিরে আসা, খারাপ ফর্ম কাটিয়ে উঠা, ক্রমাগত নিজেকে উন্নত করা – দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং ধৈর্য্য প্রয়োজন।

    বাংলাদেশের সম্ভাবনা: স্বপ্ন দেখার সময় এখনই!

    বিশ্বজুড়ে টেনিসে নতুন প্রতিভার উত্থান বাংলাদেশের তরুণ টেনিস খেলোয়াড় ও তাদের অভিভাবকদের জন্য অফুরন্ত অনুপ্রেরণার উৎস। আমাদের দেশেও লুকিয়ে আছে সম্ভাবনা, প্রয়োজন শুধু সঠিক দিশা ও সুযোগ।

    • স্থানীয় প্রতিভা চিহ্নিতকরণ: বিটিএফ এবং জেলা সংস্থাগুলোর উচিত গ্রামীণ ও শহর এলাকায় নিয়মিত স্কাউটিং চালানো, স্কুল লেভেলে ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রাম আয়োজন করা। শুধু রাজধানীকেন্দ্রিক না ভেবে সারাদেশে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা দরকার।
    • অবকাঠামোগত উন্নয়ন: ঢাকার বাইরেও আধুনিক টেনিস কমপ্লেক্স (বিশেষ করে ইন্ডোর কোর্ট, যেখানে বৃষ্টি বা তাপদাহে প্রশিক্ষণ বন্ধ থাকে না) নির্মাণ জরুরি। বিদ্যমান কোর্টগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও আধুনিকায়ন প্রয়োজন।
    • বিশ্বমানের কোচিং: বিদেশ থেকে অভিজ্ঞ কোচ আমদানি এবং স্থানীয় কোচদের আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ডে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (BKSP) এর ভূমিকা আরও জোরদার করা যেতে পারে।
    • আর্থিক সহায়তা ও স্পন্সরশিপ: প্রতিভাবান কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল খেলোয়াড়দের জন্য বৃত্তি, প্রশিক্ষণ বাবদ অনুদান এবং বিদেশে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য অর্থায়নের ব্যবস্থা করা দরকার। কর্পোরেট হাউসগুলোকে টেনিসে বিনিয়োগের জন্য উৎসাহিত করতে হবে। সরকারি অনুদানও বাড়ানো প্রয়োজন।
    • সাফল্যের গল্প প্রচার: বাংলাদেশের টেনিসের ইতিহাসে মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, মোহাম্মদ আলী ফাতেমি, শিবু লাল, শারমিন সুলতানা রিচির মতো নাম আছে। তাদের গল্প, এবং বর্তমানের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন রণবীর, রাশিদুল, তানজিলা হায়দারের মতো খেলোয়াড়দের অগ্রযাত্রা তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে। মিডিয়ার ভূমিকা এখানে গুরুত্বপূর্ণ।
    • অভিভাবকদের সচেতনতা: শুধু একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রীড়াকেও ক্যারিয়ার হিসেবে দেখার মানসিকতা গড়ে তুলতে অভিভাবকদের উৎসাহিত করতে হবে। সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও ভারসাম্য রক্ষা করে খেলা এবং পড়াশোনা দুটোই এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

    একটি আশার আলো: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণ প্রতিভারা বিদেশেও টেনিসে নিজেদের পরিচয় তৈরি করছেন। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণ খেলোয়াড়রা জুনিয়র সার্কিটে অংশ নিচ্ছেন। তাদের অভিজ্ঞতা দেশের ভেতরের খেলোয়াড়দের জন্য মূল্যবান হতে পারে।

    এই নতুন প্রজন্মের উত্থান শুধু টেনিসের জন্য নয়, গোটা ক্রীড়াজগতের জন্য এক অমূল্য সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। তারা দেখিয়ে দিচ্ছে, অসম্ভব বলে কিছু নেই – যদি থাকে অদম্য ইচ্ছা, বিজ্ঞানসম্মত পরিশ্রম এবং সঠিক পথনির্দেশ। বাংলাদেশের মাটিতেও যে এমন তারকা তৈরি হতে পারে না, তার কী আছে? প্রয়োজন স্বপ্ন দেখার সাহস, সেই স্বপ্নকে লালন করার সুযোগ, এবং একটু অদম্য প্রচেষ্টা। আমাদের তরুণরাও পারে বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে দিতে। শুধু দরকার সঠিক প্ল্যাটফর্ম আর অকুণ্ঠ সমর্থন।

    জিতুন ফ্যান্টাসি ক্রিকেট টিপস সহ: আপনার চ্যাম্পিয়নশিপের রোডম্যাপ

    জেনে রাখুন-

    ১. বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত ‘টেনিসে নতুন প্রতিভা’ কারা?
    কার্লোস আলকারাজ (স্পেন), ইগা সোয়াতেক (পোল্যান্ড), কোকো গফ (ইউএসএ), জেনি ওয়াং (চায়না), হোলগার রুনে (ডেনমার্ক) এবং কিনিন ঝেং (চায়না) বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আলোচিত উদীয়মান তারকা। এরা ইতিমধ্যেই গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়সহ শীর্ষ র্যাঙ্কিং অর্জন করেছে এবং ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মিররা আন্দ্রেয়েভা (রাশিয়া) এর মতো কিশোরীরাও দারুণ সম্ভাবনা দেখাচ্ছে।

    ২. এই নতুন প্রতিভারা আগের প্রজন্মের চেয়ে কীভাবে আলাদা?
    নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়রা শারীরিকভাবে অত্যন্ত ফিট, অ্যাথলেটিসিজমে ভরপুর এবং প্রযুক্তিগতভাবে নিখুঁত। তারা শক্তির পাশাপাশি টেকনিক্যাল বৈচিত্র্য (নেট প্লে, ড্রপ শট, ভিন্ন ধরনের স্পিন) ও দুর্দান্ত মানসিক দৃঢ়তার সমন্বয় ঘটিয়েছে। আধুনিক প্রশিক্ষণ পদ্ধতি, ডেটা অ্যানালিটিক্স এবং স্পোর্টস সাইন্সের ব্যাপক ব্যবহার তাদেরকে আলাদা করেছে।

    ৩. বাংলাদেশে টেনিসে নতুন প্রতিভা তৈরির প্রধান বাধা কী কী?
    বাংলাদেশে প্রধান বাধাগুলোর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ সুবিধা ও কোচের অভাব, পর্যাপ্ত আধুনিক কোর্ট (বিশেষ করে ইন্ডোর), পর্যাপ্ত আর্থিক বিনিয়োগ ও স্পন্সরশিপের সংকট, বিদেশে উচ্চপর্যায়ের প্রতিযোগিতায় নিয়মিত অংশগ্রহণের সুযোগের স্বল্পতা এবং কখনও কখনও অভিভাবকদের মধ্যে ক্রীড়াকে পূর্ণকালীন ক্যারিয়ার হিসেবে দেখার মানসিকতার অভাব।

    ৪. একজন তরুণ টেনিস খেলোয়াড় হওয়ার জন্য কোন গুণগুলো সবচেয়ে জরুরি?
    সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণগুলো হলো অদম্য ইচ্ছাশক্তি, কঠোর পরিশ্রম ও শৃঙ্খলার মানসিকতা, শারীরিক ফিটনেস ও সহনশীলতা, দ্রুত শেখার ক্ষমতা, প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব এবং চাপ সামলানোর দক্ষতা। ধৈর্য্য এবং দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের প্রতি অঙ্গীকারও অপরিহার্য। শুধু প্রতিভাই যথেষ্ট নয়, নিষ্ঠা চাই।

    ৫. বাংলাদেশের মেয়েরা আন্তর্জাতিক টেনিসে সাফল্য পেতে পারে কি?
    অবশ্যই পারে! বিশ্বজুড়ে নারী টেনিস (ডব্লিউটিএ) অত্যন্ত জনপ্রিয় ও প্রতিযোগিতামূলক। ইগা সোয়াতেক, কোকো গফ, কিনিন ঝেং, আর্যনা সাবালেনকা – সবাই প্রমাণ করছে মেয়েরা শীর্ষে থাকতে পারে। বাংলাদেশেও শারমিন সুলতানা রিচি, তানজিলা হায়দারের মতো খেলোয়াড়রা জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রয়োজন মেয়েদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করা, নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং তাদেরকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা।

    ৬. টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে গড়ে কত খরচ হয়?
    বিশ্বমানের টেনিস খেলোয়াড় হওয়া অত্যন্ত ব্যয়বহুল। কোচিং ফি, বিশ্বমানের র্যাকেট ও জুতো, ফিটনেস ট্রেনিং, ভ্রমণ (ফ্লাইট, হোটেল, ভিসা), টুর্নামেন্ট ফি, ফিজিওথেরাপি, পুষ্টি – সব মিলিয়ে বছরে কয়েক কোটি টাকা খরচ হতে পারে, বিশেষ করে জুনিয়র লেভেল থেকে শুরু করে প্রফেশনাল সার্কিটে উঠার সময়। এজন্যই শক্তিশালী স্পন্সরশিপ বা পারিবারিক/জাতীয় ফেডারেশনের ব্যাপক আর্থিক সহায়তা অপরিহার্য।

    বিঃদ্রঃ এই নিবন্ধে উল্লিখিত খেলোয়াড়দের পরিসংখ্যান ও অর্জনসমূহ নির্ভরযোগ্য সূত্র যেমন ATP Tour, WTA Tour, International Tennis Federation (ITF) ওয়েবসাইট এবং বিশ্বস্ত ক্রীড়া সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে প্রদান করা হয়েছে। খেলোয়াড়দের ফর্ম ও র্যাঙ্কিং সময়ের সাথে পরিবর্তনশীল।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ATP Tour emerging tennis talents next gen tennis tennis academy tennis development Tennis Future Stars WTA Tour অন্যান্য ইগা সোয়াতেক উদীয়মান টেনিস তারকা কার্লোস আলকারাজ কোকো গফ খেলাধুলা জুনিয়র টেনিস টেনিস প্রশিক্ষণ টেনিসে টেনিসে নতুন প্রতিভা তারকারা তৈরি নতুন প্রতিভা বাংলাদেশ টেনিস বিশ্বজয়ে ভবিষ্যতের ভবিষ্যতের টেনিস তারকা যারা
    Related Posts
    জিতুন ফ্যান্টাসি ক্রিকেট টিপস

    জিতুন ফ্যান্টাসি ক্রিকেট টিপস সহ: আপনার চ্যাম্পিয়নশিপের রোডম্যাপ

    July 14, 2025
    রংপুর

    বিগ ব্যাশ চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ১ রানের জয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে রংপুর

    July 14, 2025
    চেলসি

    পিএসজিকে মাটিতে নামিয়ে ৩-০ গোলে ক্লাব বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন চেলসি

    July 14, 2025
    সর্বশেষ খবর
    MBA scholarships

    MBA Scholarships: How to Secure Funding for Your MBA in the USA

    মেয়েদের শরীর

    মেয়েদের শরীরের কোন অংশে হাড় থাকে না

    Rachna-Banerjee-Net-Worth-Income

    কত টাকার মালিক রচনা ব্যানার্জী? ফাঁস হলো মোট সম্পত্তির পরিমাণ

    DR Yunus

    অপরাধ বাড়ার দাবি পুরোপুরি সত্য নয় : অন্তর্বর্তী সরকার

    Glossier Beauty Revolution

    Glossier Beauty Revolution: Leading the Skincare Innovation Wave

    ওয়েব সিরিজ

    লজ্জার সীমা অতিক্রম করে করলেন গৃহবধূ, রিলিজ হলো উল্লুর নতুন ওয়েব সিরিজ

    Slip

    সকালে ঘুম থেকে উঠেই যে ৫টি কাজ শুরু করলে জীবন বদলে যাবে

    Glysolid Skincare Innovations

    Glysolid Skincare Innovations:Leading Dermatological Moisturization Solutions

    Bit Coin

    প্রথমবারের মতো ১ লাখ ২০ হাজার ডলার ছাড়াল বিটকয়েনের দাম

    Dragon

    ড্রাগন ফলের যত উপকারিতা, জেনে নিন

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.