স্পোর্টস ডেস্ক : ফরিদ আহমেদের শর্ট ডেলিভারি পুল করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ফেললেন ভিরাট কোহলি। মিড-অফে সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমালেন ইব্রাহিম জাদরান। গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়লেন ভারতীয় মহাতারকা। গড়লেন অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ড।
বেঙ্গালুরুতে বুধবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে এই অভিজ্ঞতা হয় কোহলির। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ নিয়ে ৩৫ বার রানের খাতা খোলার আগে ড্রেসিং রুমে ফিরতে হলো তাকে। ভারতের বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।
ম্যাচের তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায় ভারত, ফিরে যান ইয়াশাসবি জয়সওয়াল। পরের বলেই কোহলির ওই আউট। টি-টোয়েন্টিতে এ নিয়ে পঞ্চমবার শূন্যতে ফিরলেন তিনি, ওয়ানডেতে ১৬ এবং টেস্টে ১৪ বার এই তেতো অভিজ্ঞতা হয়েছে কোহলির।
ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে ১ থেকে ৭ নম্বর পজিশনের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার ‘ডাক’ পাওয়ার রেকর্ডটি এতদিন ছিল যৌথভাবে কিংবদন্তি সাচিন টেন্ডুলকার ও কোহলির, ৩৪বার। এবার পূর্বসূরিকে সেখান থেকে মুক্তি দিলেন কোহলি।
অবশ্য সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শূন্য রানে ফেরার তালিকায় ভারতীয়দের মধ্যে সবার ওপরে জাহির খান। দেশটির সাবেক এই পেসার রানের খাতা খুলতে পারেননি ৪৩ বার। ৪০ বার শূন্য রানে আউট হয়ে দ্বিতীয় স্থানে আরেক পেসার ইশান্ত শার্মা। সাবেক অফ স্পিনার হারভাজান সিংয়ের অবস্থান তৃতীয়, ডাক পেয়েছেন ৩৭ বার।
কোহলির সমান ৩৫ বার শূন্যতে ফেরার অভিজ্ঞতা আছে সাবেক লেগ স্পিনার আনিল কুম্বলের। ত্রিশের ওপরে রানের খাতা খোলার আগে ফিরেছেন দেশটির রোহিত শার্মা (৩৩), জাগাভাল শ্রীনাথ (৩২), ভিরেন্দার শেবাগ (৩১)।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব দেশ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ৫৯ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন শ্রীলঙ্কার গ্রেট স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোর্টনি ওয়ালশের এই অভিজ্ঞতা হয়েছে ৫৪ বার। পঞ্চাশের ওপরে এই তেতো স্বাদ পেয়েছেন আর কেবল শ্রীলঙ্কার সানাৎ জয়াসুরিয়া (৫৩)।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ভারতের প্রথম ও সব মিলিয়ে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ১২ হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়ার সুযোগ ছিল কোহলির সামনে। কীর্তিটি গড়তে স্রেফ ৬ রান প্রয়োজন ছিল তার। তা তো হলোই না, উল্টো তিনি জায়গা করে নিলেন রেকর্ড বইয়ের অনাকাঙ্ক্ষিত পাতায়।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ৩৬ বার ‘ডাক’ পাওয়া ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। ত্রিশের ওপরে এই অভিজ্ঞতা হয়েছে আর মাশরাফি বিন মুর্তজা (৩৩), মোহাম্মদ আশরাফুল (৩১) ও মুশফিকুর রহিমের (৩১)।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।