জুমবাংলা ডেস্ক: ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর সঙ্গে ফেসবুকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মন্ত্রীকে বলেছে, আমরা ক্ষতিকর কনটেন্টের বিষয়ে সতর্ক আছি।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে মন্ত্রীর সঙ্গে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে আলোচনা হয়, ড্রয়িং রুমের আলোচনার মতোই ফেসবুক মানুষের অনুভূতি প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম। পাশাপাশি কোনও কোনও ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন ও গুজব ছড়ানোসহ এটির অপব্যবহার ভয়ংকর অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। মন্ত্রী অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সমাজ কিংবা রাষ্ট্রই নয়, এটি ফেসবুকের জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেন। তিনি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ফেসবুককে আরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। ফেসবুকের বাংলাদেশ বিষয়ক কর্মকর্তা সাবহানাজ রশীদ দিয়া মন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠক করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বাংলাদেশ ফেসবুকের একটি বড় বাজার উল্লেখ করে বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশব্যাপী ইন্টারনেটসহ শক্তিশালী টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো ফেসবুকের বাংলাদেশে এ খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার সুযোগ রয়েছে।’
মোস্তাফা জব্বার ফেসবুককে বাংলাদেশের আইন ও বিধিবিধান মেনে চলার পাশাপাশি দেশ ও দেশের বাইরে থেকে রাষ্ট্রীয়, সামাজিক এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সম্মান বিঘ্নিতকর মিথ্যা ও গুজব বা অপপ্রচারমূলক উপাত্ত প্রচার ছাড়াও সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, রাষ্ট্রদ্রোহিতা, পর্নোগ্রাফি ও বাংলাদেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধবিরোধী উপাত্ত প্রচার না করতে সরকারের অবস্থান ও মনোভাব ব্যক্ত করেন। মন্ত্রী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে পৃথিবীর ১৬৫টি ভাষায় ফেসবুকের কর্মকাণ্ড পরিচালনাকে পৃথিবীর সব ভাষার প্রতি ফেসবুকের বিরল সম্মান প্রদর্শন বলে উল্লেখ করেন।
সাবহানাজ রশীদ দিয়া বলেন, ‘অন্যান্য দেশের পলিসি, আইন আর বাংলাদেশের অনেকটাই ভিন্ন, আমরা ক্ষতিকর কনটেন্টের বিষয়ে সতর্ক আছি। যেকোনও বিধিবিধানের ক্ষেত্রে অবশ্যই মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিবেচনায় রাখা উচিত। আমাদের পলিসিতে ঝুঁকিপূর্ণ কনটেন্টের বিষয়ে সচেতন থাকার বিষয়ে সরকার থেকেও বারবার বলা হয়েছে। আমরা সেই আলোকে ব্যবস্থাও নিয়েছি।’
দিয়া মন্ত্রীকে জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে বাংলাদেশে ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন। ইতোমধ্যে ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ব্যবসা করার সুযোগ সৃষ্টির জন্য ১০ লাখ মানুষকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। যেকোনও আইন করার সময় স্টেকহোল্ডার, সুশীল সমাজ ও ব্যবসায়িক প্রতিনিধি—সবার বক্তব্য নেওয়া উচিত। বিটিআরসি ওটিটি গাইডলাইন তৈরিতে এটি করায় ফেসবুক প্রতিনিধি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।