আলোর গতির পরিমাপ নিয়ে গ্যালিলিওর কথিত এই পরীক্ষার প্রায় তিন দশক আগের ঘটনা। ১৬০৯ সালের দিকে টেলিস্কোপ ব্যবহার করে প্রথম আকাশ পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। সেটি করতে গিয়ে বৃহস্পতি গ্রহের চারটি উপগ্রহ আবিষ্কার করেন গ্যালিলিও। দেখেন, উপগ্রহগুলো বৃহস্পতিকে কেন্দ্র করে ঘুরছে।
সেগুলো এখনও গ্যালিলিওর স্যাটেলাইট নামে পরিচিত। তিনি দেখতে পান, প্রতিটি উপগ্রহ বৃহস্পতির সামনের দিকে সরে যাচ্ছে, তারপর একদিকে আরও সরে চলে যাচ্ছে বৃহস্পতির বাইরের দিকে। তারপর সেগুলো কাছাকাছি ফিরে এসে বৃহস্পতির পেছনে চলে যাচ্ছে, পরে বিপরীত দিকে বাইরে চলে যাচ্ছে। এরপর আবারও কাছাকাছি ফিরে আসছে বৃহস্পতির সামনে। এভাবেই বারবার একই চক্রের পুনরাবৃত্তি ঘটছে।
প্রতিবার কোনো উপগ্রহ যখনই বৃহস্পতির পেছনে চলে যাচ্ছে, তখন তাতে গ্রহণ ঘটছে। মানে উপগ্রহগুলোর ওপর বৃহস্পতির ছায়া পড়ছে। একে বলা যায়, বৃহস্পতির চন্দ্রগ্রহণ। উপগ্রহগুলোর প্রতিটিই একটা নির্দিষ্ট বা স্থির গতিতে বৃহস্পতির চারপাশে ঘুরছে। তাই তাদের প্রতিটির গ্রহণও ঘটে একটা নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে।
বৃহস্পতির সবচেয়ে কাছের উপগ্রহ আইও সবচেয়ে কম সময়ে একবার ঘূর্ণন পূর্ণ করে। এর গ্রহণ ঘটে প্রতি দিনে। এর পরেরটির নাম ইউরোপা। এর গ্রহণ ঘটে প্রতি দিনে। পরেরটি—গ্যানিমেডের গ্রহণ ঘটে প্রতি দিনে। আর সবচেয়ে দূরে রয়েছে ক্যালিস্টো, যার গ্রহণ ঘটে প্রতি দিনে।
এসব আবিষ্কার ছাড়াও পেন্ডুলাম নিয়েও গবেষণা করেছিলেন গ্যালিলিও। এভাবে আবিষ্কার করেন পেন্ডুলামের বেশ কিছু ধর্ম। এ গবেষণার ওপর ভিত্তি করে ১৬৫৬ সালে পেন্ডুলাম ঘড়ি উদ্ভাবন করেন ডাচ জ্যোতির্বিদ ক্রিস্টিয়ান হাইগেনস। একেই বলা যায় সে যুগের সঠিক সময় দেওয়া প্রথম ঘড়ি। এর মাধ্যমে সঠিকভাবে মিনিট মাপা সম্ভব ছিল। কাজেই বৃহস্পতির উপগ্রহগুলোর গ্রহণ লাগার মতো ঘটনাগুলোর সঠিক সময় মাপার জন্য এই ঘড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।