মোহাম্মদ আল আমিন : বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করে ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর। ওইদিন বিশ্ব ক্রিকেট ইতিহাসের নতুন অধ্যায়ে নাম লেখায় বাংলাদেশ। এরই মধ্যে দেখতে দেখতে ১৯টি বছর পেরিয়ে গেলো। তখনকার সেই টাইগার বাহিনীও এই ১৯ বছরে বদলে গেছে অনেকটাই। কোনও কোনও খেলোয়াড় তো নিজেদের দাঁড় করিয়েছেন কিংবদন্তিদের কাতারেও।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে রেকর্ড গড়ে বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের তিনজন দাপুটে টাইগার। ১৯ বছর ধরে টেস্টের মাঠে এ যাবত অর্ধশতাধিক বাংলাদেশি খেলোয়াড়ের খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে সাকিব, তামিম ও মুশফিকের ঝুঁলিতে রয়েছে টেস্ট ক্রিকেটের বেশ কয়েকটি রেকর্ড।
টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন মুশফিক। শ্রীলংকার বিপক্ষে ওইদিন তিনি খেলে ফেলেন ২০০ রানের স্মরণীয় ইনিংস। বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে জয়ের স্বাদটাও বেশি পেয়েছে তারই নেতৃত্বে। মুশফিকের মতোই বাংলাদেশের পক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন আরও দুজন। তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান।
২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩৪টি ম্যাচে নেতৃত্ব দেন মুশফিক। যার ৭টিতে জয় ও ১৮টিতে পরাজিত হয় বাংলাদেশ।
অন্যদিকে ২০১০ সালের মে মাসে লর্ডসে হওয়া বাংলাদেশের টেস্ট ম্যাচটি যারা দেখেছে তারা কেউই সে ম্যাচটি ভুলতে পারবেন না। যে কোনো ক্রিকেট ভক্ত সেই ম্যাচটির কথা মনে রাখতে চাইবে আজীবন। কেননা সেদিন লর্ডস ক্রিকেট অনার্স বোর্ডে বাংলাদেশি একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তামিম নিজের নামটি লিখিয়েছিলেন। তামিম ছাড়া এখন পর্যন্ত অন্য কোনও বাংলাদেশি ক্রিকেটারের নাম ওই বোর্ডে স্থান পায়নি। টেস্টে সবচেয়ে বেশি রানও রয়েছে তামিম ইকবালের ঝুঁলিতে। ১১২ ইনিংস খেলে তিনি করেছেন ৪৩২৭ রান। যেখানে শতক রয়েছে ৯টি এবং অর্ধশতক রয়েছে ২৭টি।
সর্বোচ্চ উইকেটের খাতায় নাম আছে দেশ সেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। মাত্র ৯৩টি ইনিংস থেকে তিনি শিকার করেন ২০৫টি উইকেট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।