বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লড়াই এবার বসছে ক্রিকেটের ঐতিহ্যের মঞ্চ লর্ডসে। বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার (১১ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত ফাইনাল। যেখানে মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া। দুই দলই ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছে নিজেদের সেরা একাদশ। চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি ও মানসিক যুদ্ধ। তবে পাঁচ দিনের এই ফাইনাল ঘিরে উত্তেজনার সঙ্গে যোগ হয়েছে একটি অজানা শঙ্কাও—লন্ডনের খামখেয়ালি আবহাওয়া। কারণ, ম্যাচ চলাকালীন বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, যা এই বহুল প্রতীক্ষিত লড়াইয়ের স্বাভাবিক গতিতে বাঁধা দিতে পারে।
পাঁচদিনের এই ফাইনাল শেষেই নির্ধারণ হবে কার হাতে আগামী দুই বছরের জন্য টেস্টের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক থাকছে। তবে খেলা যে পাঁচদিনই মাঠে গড়াবে এমন নিশ্চয়তা দেয়া কঠিন। লন্ডনের আবহাওয়া বরাবরই অনিশ্চিত। বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে এই ম্যাচের সময়েই।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ফাইনাল ম্যাচের প্রথম, চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে সেন্ট জোন্স এলাকায় দিনের বেশির ভাগ সময় রোদ থাকবে এবং আকাশে মাঝে মাঝে হালকা মেঘ দেখা যাবে। তবে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার, অর্থাৎ ম্যাচের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যার কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
বৃষ্টির কারণে ম্যাচের ওভার নষ্ট হলে ফাইনাল বিবেচনায় রিজার্ভ ডে হিসেবে বাড়তি এক দিন রাখা হয়েছে। ১৫ জুন পঞ্চম দিনেও পুরো খেলা আয়োজন না করা গেলে ম্যাচ গড়াবে ১৬ জুন ষষ্ঠ দিনে। তবে যদি ৬ দিনেও ম্যাচে ফল না আসে সেক্ষেত্রে ম্যাচ ড্র, টাই বা পরিত্যক্ত হিসেবে শেষ হবে।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, এমন ঘটনার ক্ষেত্রে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে দুই দলকেই। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগের দুই ফাইনালের ক্ষেত্রেও ছিল এই নিয়ম। এর মাঝে ২০২১ সালে প্রথম আসরে নিউজিল্যান্ড ভারতকে ফাইনালে হারিয়েছিল ষষ্ঠ দিনে গিয়ে। সেবার বৃষ্টির কারণে ম্যাচের প্রথম এবং চতুর্থ দিনে একটি বলও খেলা হয়নি।
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হারের পর শাকিব খানের বার্তা-‘এটা শেষ নয়, এটি মাত্র শুরু’
২০২৩ ফাইনালে অবশ্য বৃষ্টি বাঁধা দেয়নি। ম্যাচের পঞ্চম দিনে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া এবার সাফল্য ধরে রাখতে পারছে কি না, সেটাই দেখার বিষয়। চোখ থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকার দিকেও। গেল কয়েক আইসিসি আসরে দারুণ ছন্দে থাকা দলটার সামনে এবার ট্রফিখরা ঘোচানোর পালা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।