স্পোর্টস ডেস্ক: বয়স ৪০ বছরের পর ক্যারিয়ার অব্যাহত রাখার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন মার্কিন কিংবদন্তী স্প্রিন্টার জস্টিন গ্যাটলিন। তবে টোকিও অলিম্পিক থেকে আরেকটি স্বর্ণ পদক জয়ের দিকে নিজের দৃষ্টি নিবদ্ধ রয়েছে বলে রোববার জানিয়েছেন এই স্প্রিন্টার।
করোনা ভাইরাসের কারনে দেরীতে হলেও আয়োজন হতে যাওয়া টোকিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করে যদি লক্ষ্য পূরণ করতে পারেন তাহলে ৩৯ বছর বয়সি গ্যাটলিন হবেন সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বয়সি পদক জয়ী স্প্রিন্টার।
সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বি উসাইন বোল্ট ইতোমধ্যে অবসর গ্রহণ করেছেন। আর তিনবার ডোপ টেস্টে অংশগ্রহণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ১০০ মিটারের বিশ^ চ্যাম্পিয়ন ক্রিস্টিয়ান কোলম্যান নিষিদ্ধ হয়েছেন টোকিও গেমস থেকে। এমতাবস্থায় পদক জয় করার বস্তব সম্মত সুযোগটি এখন গ্যাটলিনের।
আজ টোকিও অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রুদ্ধদ্বার পরীক্ষামুলক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ শেষে তিনি বলেন,‘ আমিও তাই আশা করছি। এ কারণে আমি এখনো এখানে। আমি অলিম্পিক দলের সঙ্গে থাকতে পছন্দ করি। তবে এখানে আমি কোন অপ্রয়োজনীয় সফরে আসিনি। আমি কঠিন পরিশ্রম করতে চাই এবং শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে চাই। আশা করছি এই বছরটি হবে আমার সাফল্য পাওয়ার সেই বছর।’
২০০৪ সালে এথেন্স অলিম্পিকে ১০০ মিটার ইভেন্টের স্বর্ণ পদক জয় করেছিলেন গ্যাটলিন। তবে মাদক গ্রহণের অভিযোগে ২০০৮ সালের গেমসে নিষিদ্ধ হন তিনি। ২০১২ সালে ফের ট্র্যাকে ফিরে ব্রোঞ্জ পদক জয় করেন এই মার্কিন অ্যাথলেট। চার বছর পর জয় করেন রৌপ্য পদক। টোকিও অলিম্পিক তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ ও শেষ অলিম্পি হবে বলে জানিয়েছেন গ্যাটলিন।
এই গ্রীষ্মেই তিনি নিশ্চিত ভাবে ট্র্যাক ছাড়ছেন কিনা প্রশ্ন করা হলে সঙ্গে সঙ্গেই মত পাল্টে ফেলেন গ্যাটলিন। বলেন, ‘আমি এখন এসব কথা বলছি। কিন্তু যেভাবে আমার ক্যারিয়ার এগিয়ে যাচ্ছে তাতে ঠিক বলতে পারছি না কি ঘটবে। নিজের অবস্থান নিয়ে আমি সব সময় খুশি থাকি। আমি এখনো প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামার জন্য মুখিয়ে আছি। সুতরাং আমি কখনো বলতে পারব না।’
রোববার ১০০ মিটার ইভেন্টের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গ্যাটলিন সময় নিয়েছেন ১০.২৪ সেকেন্ড। নিজের ওই ফর্মে সন্তোসও প্রকাশ করেন গ্যাটলিন। এখন তিনি তাকিয়ে আছেন আগামী মাসের মার্কিন ট্রায়ালের দিকে।
তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে করোনাকালে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে আয়োজিত এবারের গেমসটি হবে আলাদা। বিভিন্ন বিধিনিষেধের বেড়াজালে পড়ে অনেক অ্যাথলেটই এতে অংশ নিয়ে খুশি হতে পারবে না।
গ্যাটলিন বলেন, ‘আমি বাইরে যাওয়া মিস কররব। বঞ্চিত হব স্থানীয় ডিনার ও খাবার থেকে। আশা করছি আরো পরে যখন অলিম্পিক শুরু হবে তখন এই বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হবে।’ সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।