জুমবাংলা ডেস্ক : শিম ক্ষেতে ডেকে নিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধার বিরুদ্ধে। গত দুই মাস আগে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে দাবি করেছেন পরিবার। ঘটনাটি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার উত্তর বাখবনগর ইউনিয়নের লোচনপুর (সোনাকান্দা) গ্রামের।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম হাসান মিয়া (৬০)।
তিনি লোচনপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর (ওরফে মিয়া সরদার) ছেলে এবং পেশায় সবজি চাষী।
ভুক্তভোগীর পারিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তার মা নরসিংদীর পাঁচদোনায় একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক ও বাবা রিকশাচালক। কাজের সুবাদে ওই দম্পতি সেখানে বসবাস করেন। রায়পুরার লোচনপুরে নানার বাড়িতে বৃদ্ধ নানির সঙ্গে থাকতেন কিশোরী ও তার এক ভাই। দুই মাস আগে শিম ভর্তি একটি ঝুড়ি মাথায় তুলে দিতে ওই কিশোরীকে ক্ষেতে ডাকেন হাসান। পরে শিমক্ষেতে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন তিনি।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, চারদিন আগে বাড়ি ফিরে মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন দেখতে পাই। পরে ডাক্তারের পরামর্শে রায়পুরা পৌর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়। ডাক্তার রিপোর্ট দেখে জানান আমার মেয়ে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরে মেয়ের কাছে জানতে পারি হাসান শিমক্ষেতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেছে।
তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত হাসান ধর্ষণের কথা অস্বীকার করায় ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশকে জানাই। পরে রায়পুরা থানার পুলিশ এসে ঘটনা শোনেন এবং হাসানকে তার বাড়িতে না পেয়ে চলে যান। ন্যায় বিচারের জন্য থানায় মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।
ভুক্তভোগী কিশোরী জানায়, ধর্ষণ শেষে হাসান বলে এসব কথা কাউকে বলিস না। ‘কইলে তরই শরম হইব, বিয়াশাদী হইবো না। ‘ পরে লজ্জায় পরিবারের কাউকে জানাইনি।
অভিযুক্ত হাসান মিয়া জানান, তিনি কোন অপরাধ করেননি। একটি মহলের ইন্দনে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে ওই ছাত্রীর পরিবার। সত্য উদযাটনে ডিএনএ টেস্ট করানোর দাবি জানান তিনি।
রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক (এস আই) জহিরুল ইসলাম জানান, ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এ ব্যাপারে ওই কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত কোন অভিযোগ পাাওয়া যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।