আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আমেরিকার টেক্সাসে এক বিশাল জনসভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে একে অন্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এবং ট্রাম্পের হয়ে ভোটের প্রচারণা চালিয়েছেন, ভারতের বিরোধী দলগুলো তার তীব্র সমালোচনা করছে। খবর- বিবিসি বাংলা’র
কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা অভিযোগ করেছেন, ‘হাউডি মোদী’ নামে ওই মেগা-ইভেন্টে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে ট্রাম্পকে আবার জেতানোর জন্য প্রকাশ্যে স্লোগান দিয়েছেন-তা ভারতের বিদেশ নীতির পরিপন্থী।
তিনি টুইট করে প্রধানমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ভারতের নীতি বরাবরই ছিল দ্বিদলীয়। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ভারত কখনো একটি দলের প্রতি পক্ষপাত দেখায়নি।
তিনি আরও দাবি করেন, ট্রাম্পের হয়ে স্লোগান দিয়ে মোদি আসলে দুই দেশেরই সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক মর্যাদা খর্ব করেছেন।
কংগ্রেসের মুখপাত্র ব্রিজেশ কালাপ্পা বলেন, এটি স্পষ্টভাবে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ। এছাড়া দেশটিতে বসবাসকারী ভারতীয়রা বরাবরই ডেমোক্র্যাটদের সমর্থক।
তিনি বলেন, কোনও রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট যদি ইন্দো-আমেরিকানদের ভোট পেতেও চান, তবে মোদি কেন তার ফাঁদে পা দেবেন?
ভারতের জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, কূটনীতিতে এটা খুবই বিরল একটা ঘটনা। আরও অভূতপূর্ব হলো একে অপরের পিঠ চাপড়ানি হলেও দেয়া-নেয়া হচ্ছে সম্পূর্ণ একপাক্ষিক।
তিনি বলেন, ট্রাম্প এমন কিছু বলেননি যা মোদি সরকারকে ভারতের ভেতরে সাহায্য করবে। অথচ মোদি ঘোষণা করে দিলেন ‘আবকি বার ট্রাম্প সরকার’।
তিনি আরও বলেন, আমার ধারণা এতে ভারতের বিদেশ নীতির ওপর মানুষের যে আস্থা ছিল, তা কিছুটা হলেও দুর্বল হবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা ভারত সম্পর্কে একটা ভুল বার্তা পেলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।