ট্রাস্ট ব্যাংকের ২২২ কোটি টাকার ঋণখেলাপির মামলায় আমান গ্রুপের চার গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। ব্যাংকটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) ঢাকার অর্থঋণ আদালত–৬ এর বিচারক এ আদেশ দেন।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন– আমান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মিসেস মুক্তা ইসলাম, মো. তৌফিকুল ইসলাম এবং মো. তরিকুল ইসলাম। তারা যেন দেশ ছাড়তে না পারেন সে জন্য ইমিগ্রেশন পুলিশের বিশেষ পুলিশ সুপারকে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আমান গ্রুপের এই পাঁচজন ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে মোট ১৫৬ কোটি ৮১ লাখ ১১ হাজার ১৬৫ টাকা ৪৮ পয়সা ঋণ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে সুদ ও অন্যান্য চার্জসহ বকেয়া দাঁড়ায় ২২২ কোটি ৭ লাখ ১৬ হাজার ১৩৯ টাকা ১৩ পয়সা।
ঋণ আদায়ে ঢাকার অর্থঋণ আদালত–৬ এ মামলা করে ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি। আদালত দুই পক্ষের শুনানি শেষে পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন।
এর আগে ২০২২ সালে প্রতারণার মামলায় জেল খাটেন আমান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম এবং পরিচালক শফিকুল ইসলাম ও তৌফিকুল ইসলাম। যমুনা ব্যাংকের রাজশাহী শাখা থেকে মেসার্স আরএসএন্ডটি ইন্টারন্যাশনালের নামে ৮৮ কোটি টাকা ঋণ নেয় তারা। এর বিপরীতে ১১৩ শতক জমি বন্ধক রাখা হয়। ঋণ নেওয়ার পর জালিয়াতির মাধ্যমে সেই বন্ধকি সম্পত্তি অন্যত্র হস্তান্তর করেন। ২০১৯ সালে যমুনা ব্যাংক প্রতারণার মামলা করে। এই মামলায় ২০২২ সালের ২৩ মে রাজশাহীর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে তা না মঞ্জুর করে জেলে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। পরবর্তীতে তারা জামিনে মুক্ত হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।