জুমবাংলা ডেস্ক : বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, ‘দেশে বর্তমানে ৮.৪৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে, যা দিয়ে আগামী প্রায় ১১ বছর সরবরাহ করা সম্ভব হতে পারে।’
তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের টেবিলে উপস্থাপিত তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দেশে এ যাবৎ আবিস্কৃত ২৯টি গ্যাসক্ষেত্রের প্রাথমিক মোট মজুদ ৪০.৪৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। এরমধ্যে, উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুদের পরিমাণ ২৮.৭৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত উত্তোলন করা হয়েছে ২০.৩৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। ফলে মজুদ অবশিষ্ট রয়েছে ৮.৪৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার দেশীয় উৎস হতে গ্যাস উত্তোলনের লক্ষ্যে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। উক্ত পদক্ষেপের আওতায় বিভিন্ন প্রচেষ্টা সত্ত্বেও নতুন কোন গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কৃত না হলে এবং বর্তমান হারে গ্যাস সরবরাহ করা হলে অবশিষ্ট মজুদ ৮.৪৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আগামী প্রায় ১১ বছর সরবরাহ করা সম্ভব হতে পারে।’
তিনি বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাস চাহিদা পূরণকল্পে সরকার ২০২৫ সাল নাগাদ ৪৬টি (অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার) কূপ খননের মাধ্যমে নতুন নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তন্মধ্যে ৭টি কূপ খনন কার্য সমাপ্ত হয়েছে এবং সম্প্রতি তিনটি নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে (টবগি-১, ভোলা নর্থ-২ এবং ইলিশা-১)। ২টি কুপ (বিয়ানীবাজার-১ এবং তিতাস-২৪) ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে ৭৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, দেশের সমুদ্র এলাকায় নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের লক্ষ্যে ২ডি মাল্টি ক্লায়েন্ট সাইসমিক জরিপ পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া গত ৭ জুলাই ‘বাংলাদেশ অফসোর মডেল পিএসসি ২০২৩’ অনুমোদিত হয়েছে। বর্তমানে দেশের অফশোর এলাকায় তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য নতুন বিডিং রাউন্ড আহ্বানের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।