জুমবাংলা ডেস্ক : নারীদের নিরাপদে রেল ভ্রমণের জন্য যাত্রীবাহী প্রতিটি ট্রেনে তাদের জন্য আলাদা করে নির্দিষ্ট কামরা বরাদ্দ রাখার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনটি আপাতত কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রিটটি তালিকা থেকে বাদ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অনীক আর হক ও আইনজীবী আজমল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে আইনজীবী আজমল হোসেন বলেন, রবিবার (২৪ জানুয়ারি) তালিকা থেকে বাদ দেন আদালত। এখন এই রিটের শুনানির জন্য আবার নতুন কোনো বেঞ্চে যাবো বলেও জানান আইনজীবী।
শুনানিতে ব্যারিস্টার অনীক আর হক বলেন, আইনের ৬৪ ধারা অনুসারে নারীদের জন্য নির্ধারিত কামরা রাখা বাধ্যতামূলক। ১১৯ ধারা অনুসারে কোনো পুরুষ ওই কামরায় বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করলে জরিমানা আরোপের কথা রয়েছে। আদালত এ পর্যায়ে আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, মক্কেলের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সময় দিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন (রিপ্রেজেন্টেশন) দিয়ে আসতে পারেন। আপাতত রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়া হলো।
আইনজীবীর তথ্যমতে, ১৮৯০ সালের রেলওয়ে আইনের ৬৪ ধারা অনুসারে প্রতিটি ট্রেনে নারীদের জন্য নির্দিষ্ট কামরা থাকার কথা। ৫০ মাইলের বেশি ভ্রমণকারী ট্রেনের ক্ষেত্রে ওই কামরার সঙ্গে একটি শৌচাগার সংযুক্ত থাকবে বলা আছে। সেখানে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করলে জরিমানা আরোপের কথা উল্লেখ আছে ১১৯ ধারায়। ওই দুই ধারার বাস্তবায়ন না হওয়ার প্রেক্ষাপটে ওই রিট করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।