ট্রেন্ডিং ট্রাভেল ডেস্টিনেশন: বাংলাদেশে যা দেখতে যাবেন

ওয়াটার ফ্রন্ট রিসোর্ট

জীবনের ব্যাস্ততা কাটাতে ছোটখাট ট্যুর এর বিকল্প নেই। তবে যানজটের ঝামেলার কারনে অনেকে রোড-ট্রিপ পরিকল্পনাই বাদ দিয়ে দেয়। কিন্তু চাইলেই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঢাকার আশেপাশে রিসোর্ট ভাড়া নিয়ে পরিবারের সাথে একান্ত সময় কাটানো যায়। তাই আপনিও পরিবার-পরিজন অথবা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ছুটি রিসোর্ট, ড্রিম স্কয়ার রিসোর্ট বা দ্য হেরিটেজ রিসোর্ট এর মত চমকার সব রিসোর্টে ঘুরে আসতে পারেন।

ওয়াটার ফ্রন্ট রিসোর্ট

রাঙামাটি ওয়াটার ফ্রন্ট রিসোর্ট

ইটের কারুকাজ করা রাঙামাটি ওয়াটার ফ্রন্ট রিসোর্ট গাজীপুরের অন্যতম আকর্ষণ। রিসোর্টটি ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ৩৫ কিমি দূরে, তাই যেতে ১ ঘন্টার কিছু বেশি সময় লাগতে পারে। রিসোর্টের চারপাশে বিভিন্ন জলজ প্রাণী ভর্তি জলাশয় রয়েছে। রিসোর্টে ৬০০ স্কয়ার ফিটের বিশাল সব রুম আছে। সব রুমের সাথেই ব্যালকনি এবং দৃষ্টিনন্দন ড্রয়িং স্পেস ও আসবাবপত্র পাবেন। একসাথে অনেকে থাকার জন্য প্রিমিয়াম কটেজ ভাড়া নেবার সুযোগ আছে। তিনবেলা খাবার জন্য রেস্টুরেন্ট ও বড় ডাইনিং হল  পাবেন। বিনোদনের জন্য বড়দের ও বাচ্চাদের আলাদা সুইমিং পুল আছে। রাঙামাটির ঝুলন্ত ব্রিজের মত ছোটখাট একটা ব্রিজও আছে। অবসরে বাগান এবং ওয়াটারহাউজে ঘুরতে পারবেন। কর্তৃপক্ষকে বলে রিসোর্টের লেকে মাছ ধরতে পারবেন।

ভাওয়াল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা

গাজীপুর ভাওয়াল বনের কিনারায় সুন্দর নিরিবিলি পর্যটন স্থান হলো ভাওয়াল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা। ঢাকা থেকে যেতে দুঘন্টার মত সময় লাগবে। সাপ্তাহিক ছুটি কাটানোর সেরা জায়গা এটা। এখানকার টিন ও টালি স্টাইলের ছাদের ঘরগুলো দেখতে দারুণ লাগে। আধুনিক সুবিধাসহ অনেক স্যুট ও ভিলা আছে। গ্রীষ্ম মৌসুমে এখানকার সুইমিং পুলে নেমে অনেক মজা করা যায়। বাকি সময় পুলের পাড়ে বসে গান শুনে সময় কাটাতে পারবেন। খাবারের কথা বলতে গেলে, এখানে বর্ণিল সব উপমহাদেশীয় খাবার আর পানীয়ের ব্যবস্থা আছে। আর এই রিসোর্টে অ্যারোমেটিক, সুইডিশ ও থাই স্পা-এর ব্যবস্থা আছে। রিসোর্ট থেকে সহজেই নুহাশ পল্লী ও বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক ঘুরে আসতে পারেন।

রা’স রিসোর্ট

রা’স রিসোর্ট গাজীপুরের আরো একটি বিলাসবহুল ভ্রমণ স্থান। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে এখানে যেতে বেশি হলে দেড় ঘন্টা সময় লাগতে পারে। পারিবারিক অনুষ্ঠান বা কর্পোরেট পিকনিকের জন্য সেরা হতে পারে রিসোর্টটি। অনেকে এখানে বিয়ের অনুষ্ঠান করে থাকে। এখানে ৫টি বাংলো, ৪টি কটেজ ও ১৪টি সাজানো রুম রয়েছে। প্রতি রুমে ব্যাক্তিগত ওয়াশরুম ও সেফটি বক্স আছে। এখানে আধুনিক সুবিধা নেয়ার পাশাপাশি প্রাকৃতিক পরিবেশে বিচরণ করা যায়। খাবার থেকে শুরু করে খেলাধুলা সবকিছুরই সুযোগ আছে। রিসোর্টের ঠিক সামনে বিশাল এক বাগান পাবেন। তাছাড়া কফিবার ও লাউঞ্জে সন্ধ্যা উপভোগ করতে পারবেন।

রিভেরি হলিডে রিসোর্ট

কম খরচে ঢাকার আশেপাশের রিসোর্টগুলোর মধ্যে রিভেরি হলিডে রিসোর্ট উপরের সারিতে থাকবে। শহুরে আবহ থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে চাইলে এখানে ঘুরে আসতে পারেন। ঢাকা থেকে এক ঘন্টার মধ্যে এখানে পৌছাতে পারবেন। ইস্টার্ন বাংলোসহ বেশ কিছু স্যুট আছে এখানে। ইচ্ছামত আধুনিক বা ফরেস্ট বাংলো ভাড়া নিতে পারবেন। প্রতিটি রুমে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র আছে। রিসোর্টের রেস্টুরেন্টে বিভিন্নরকম খাবারের ব্যবস্থা আছে। শীতের সময় গ্রিল বা বারবিকিউ খেতে পারবেন। এছাড়া হানিমুন কাপলদের জন্য ক্যান্ডল লাইট ডিনারের ব্যবস্থা আছে। রিসোর্টের পাশের গ্রামে ঘুরে খেজুর রস পাড়া, মাছ ধরাসহ আবহমান বাংলার নানা রকম চিত্র দেখা যায়।