জুমবাংলা ডেস্ক : কুমিল্লায় সিগন্যাল অমান্য করে রেলক্রসিং অতিক্রমকালে কনটেইনারবাহী ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী নিহত ফরিদ মুন্সী ও তার স্ত্রী পেয়ারা বেগমের পর এবার তাদের একমাত্র মেয়ে কলেজছাত্রী আঁখি আক্তারও মারা গেলেন।
সোমবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার (আঁখি আক্তার) মৃত্যু হয়। তার বড় চাচা আবু তাহের মুন্সি আঁখি আক্তারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আবু তাহের মুন্সি আরো জানান, আমার ভাতিজি আঁখি আক্তার দেবিদ্বার উপজেলা সদরের একটি বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর তাকে বাঁচানোর জন্য চিকিৎসকেরা অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে আর বাঁচানো গেল না। তার মরদেহ বাড়িতে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি চলছে। তাকে তার বাবা ও মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে জেলার দেবিদ্বার উপজেলার গজারিয়া গ্রামের ফরিদ মুন্সী তার স্ত্রী ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তার ভাগিনা রাকিবুলের সিএনজি অটোরিকশায় করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। নগরীর প্রবেশমুখে শাসনগাছা রেলক্রসিংয়ে তাদের বহনকারী অটোরিকশায় কনটেইনারবাহী ট্রেনের ধাক্কা লাগে। এ সময় ট্রেনের মুখে পড়ে সিএনজিটি প্রায় ১০০ মিটার দূর পর্যন্ত গিয়ে দুমড়ে-মুচড়ে রেলপথের পাশে পড়ে যায়।
এতে ফরিদ মুন্সী ও তার স্ত্রী পেয়ারা বেগম মারা যান। তাদের আহত মেয়ে আঁখি আক্তার ও ভাগিনা রাকিবুলকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে সিএনজি চালক রাকিবুল সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেন। কিন্তু সেখানে আঁখির অবস্থার অবনতি হলে গত শুক্রবার তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। আজ সোমবার সকালে সেখানে আঁখি আক্তার মারা যান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।