ট্রেন যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বর্তমানে বাধ্যতামূলক জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করার নিয়মটি পরিবর্তন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া এক আইডি কার্ডে পরিবারের সর্বোচ্চ ৪ জন সদস্যের টিকিট ক্রয় ও ট্রেন ভ্রমণ করা যাবে।
গত ১৩ আগস্ট বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তিতে রেলওয়েতে ভ্রমণকারী যাত্রীদের ভ্রমণের সময় জাতীয় পরিচয়পত্রসহ ভ্রমণের কথা বলা হয়। কিন্তু যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এ বাধ্যবাধকতা শিথিল করা হলো।
বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে গত রোববার (১৬ আগস্ট) থেকে ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’-রেলের এ নতুন নিয়ম কার্যকর শুরু হয়েছে।
নতুন নিয়মানুযায়ী, এখন থেকে ট্রেনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিজ টিকিট, রিটার্ন টিকিট অথবা নির্দিষ্ট মেয়াদি টিকিট কারো কাছে হস্তান্তর বা বিক্রি করলে তাকে তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড দেয়া হতে পারে। পাশাপাশি এ ধরনের টিকিটের ক্রেতাকে একবার একক ভ্রমণের সমান অতিরিক্ত ভাড়ার জন্য দণ্ডিত করা হবে।
অনুরূপভাবে টিকিটের ক্রেতা অন্যের টিকিট ব্যবহার করলে অথবা ব্যবহার করার চেষ্টা করলে সে একবার একক ভ্রমণের সমান অতিরিক্ত ভাড়ার জন্য দণ্ডিত হবেন।
এ প্রসঙ্গে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে যাত্রী সাধারণের উদ্দেশ্য বলা হয়, ট্রেনে ভ্রমণের জন্য ক্রয়কৃত টিকিট, রিটার্ন টিকিট অথবা নির্দিষ্ট মেয়াদি টিকিট হস্তান্তরযোগ্য নয় এবং এটি কেবল যে ব্যক্তি বা যাত্রীর ভ্রমণের জন্য প্রদান করা হবে সেই ব্যক্তি এবং উহাতে সুনির্দিষ্টভাবে যে সব স্থানে বা মধ্যে ভ্রমণের অনুমতি প্রদান করা হবে সেই স্থানসমূহের মধ্যে প্রযোজ্য হবে।
কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে, রেলভ্রমণ করতে অন-লাইন/মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিজের টিকেট সংগ্রহ করতে এবং অন্যের নামে ক্রয়কৃত টিকিটে রেলভ্রমণ না করার অনুরোধ জানিয়েছে।
ওয়েবসাইট থেকে টিকিট করার জন্য নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রথমে লগইন আইডি তৈরি করতে হবে। এজন্য www.esheba.cnsbd.com ঠিকানায় গিয়ে নাম ও অন্যান্য তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ করে সাবমিট দিলে নিজের মোবাইল ফোনে একটি কোড আসবে। এর পর কোডটি নির্দিষ্ট ঘরে দিয়ে বসিয়ে ওকে করতে হবে। এর পর আপনাকে পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে।
এবার টিকিট করার জন্য লগইনের পর সার্চ বাটনে গিয়ে কোথায় থেকে কোথায় যাবেন সেই জায়গা ও ট্রেনের নাম সিলেক্ট করলে টিকিট খালি আছে কিনা সেই তথ্য প্রদর্শন করবে। টিকিট কনফার্ম করতে চাইলে সেখানে পার্চেজ (ক্রয়) অপশনে গিয়ে পেমেন্টের জায়গায় বিকাশ, রকেট, নগদ বা ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে হবে। টাকা পরিশোধ হলে আপনার ইমেইলে টিকিটের কপি চলে আসবে। এবার আপনাকে সেটি প্রিন্ট করে নিতে হবে।
এক্ষেত্রে আইডি তৈরির সময় জাতীয় পত্রের তথ্য লাগবে। যদি বয়স ১৮ বছরের কম হয় তাহলে জন্মসনদ দিয়ে আইডি খোলা যাবে।
আপনার নির্দিষ্ট ট্রেনে ওঠার আগে টিকিট প্রদর্শন করতে হবে। আপনার আইডি কার্ডের বা জন্মসনদের সঙ্গে তথ্য মিলিয়ে দেখবেন ট্রেনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। নামের সঙ্গে ট্রেনের টিকিটের নামের মিল না থাকলে ভ্রমণ করতে পারবেন না। এমনকি এজন্য জরিমানা বা কারাদণ্ড হতে পারে।
করোনা সংকট মোকাবিলা করে ৩১ আগস্টের মধ্যে আন্তঃনগর সব ট্রেন চালুর লক্ষ্য নিয়ে প্রথম ধাপে ১৭টির পর দ্বিতীয় ধাপে চালু হয় আরও ১৩টি ট্রেন। প্রতিটি ট্রেনের মোট আসনের অর্ধেক টিকিট বিক্রি হচ্ছে। যার পুরোটাই মিলবে অনলাইনে। এক আসন ফাঁকা রেখে বসানো হচ্ছে যাত্রী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।