জুমবাংলা ডেস্ক : ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ নির্বাচনে একক প্রার্থিতা থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল।
শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মঞ্জুরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা রিটার্নিং অফিস সূত্রে জানা যায়, শুন্য আসনে নির্বাচন করতে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। প্রত্যাহারের নির্দিষ্ট দিনে একজন প্রত্যাহার করলে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকেন। কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ে ঋণ খেলাপির দায়ে এসএমএ মঈনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এতে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল মজিদ আপেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
কিন্তু এসএমএ মঈন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে রিট পিটশন করেন। আদালত তার প্রার্থিতা সঠিক রয়েছে মর্মে প্রতীক বরাদ্দের আদেশ প্রদান করেন। তবে গত ৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল ডিভিশন এসএমএ মঈনের আবেদন খারিজ করে ঠাকুরগাঁও জেলা রিটার্নিং অফিসারের গণবিজ্ঞপ্তি সঠিক রয়েছে বলে রায় প্রদান করেন।
এ অবস্থায় ঠাকুরগাঁও জেলা রিটার্নিং অফিসার নির্বাচনে আব্দুল মজিদ আপেল ব্যাতীত আর কোনো প্রতিপক্ষ না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার আবারও গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
নবনির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ আপেল বলেন, আমি সব সময় সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে গেছি এবং সততার সঙ্গে কাজ করে যাবো। আমার বড় ভাই মরহুম সাদেক কুরাইশীর অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করবো। সকলকে সঙ্গে নিয়ে একটি মডেল জেলা পরিষদ গড়ে তুলবো।
গত বছরের ২৪ অক্টোবর ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সাদেক কুরাইশী মৃত্যুবরণ করলে পদটি শূন্য হয়। ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৭৫৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৭৮ জন ও নারী ভোটার সংখ্যা ১৮০ জন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।