আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমর্থন নিয়ে তবেই টিকার জরুরি ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে চীন।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের কর্মকর্তা ঝেং ঝংওয়ে শুক্রবার দেশটির স্টেট কাউন্সিলকে বলেন, জুনের শেষ নাগাদ তারা ডব্লিউএইচও থেকে ট্রায়ালের অনুমোদন নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিনের ব্যবহার শুরু করেন।
চীন কয়েক মাস আগেই নিজেদের দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের টিকা দিয়েছে। একটি টিকা তাদের সেনাবাহিনীও জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার করছে। তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগে টিকার ব্যবহার করায় অনেক সংস্থা প্রশ্ন তুলেছিল।
‘ট্রায়ালের অনুমোদনের পর আমরা চীনের ডব্লিউএইচও প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করি,’ জানিয়ে ঝেং ঝংওয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘তখন তাদের থেকে আমরা জরুরি ভিত্তিতে টিকা ব্যবহারের সমর্থন পাই।’
চীনের এ দাবির স্বপক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধির কোনো মন্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় চলতি মাসেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৌম্য স্বামিনাথান বলেন, যেকোনো দেশের জাতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বর্তমান জরুরি পরিস্থিতিতে নিজের দেশে যেকোনো চিকিৎসাপণ্যের ব্যবহারের অনুমোদন দিতে পারে। এ ধরনের পদক্ষেপ ‘সাময়িক সমাধান’ হিসেবেই নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারীর দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হলো মানবদেহে কোনো টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শেষে নিরাপদ ও কার্যকর প্রমাণিত হলে তা প্রয়োগ করা।
করোনার টিকার জরুরিভিত্তিতে প্রয়োগ কর্মসূচির বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করেনি বেইজিং। তবে দেশটির কমপক্ষে তিনটি সম্ভাব্য টিকা এ কর্মসূচির আওতায় প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।