জুমবাংলা ডেস্ক : চলন্তিকা বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের পর সবাই ব্যস্ত নিজের পুড়ে যাওয়া ঘরের মালপত্র সরানোর কাজে। কেউ কেউ ধ্বংস্তুপে নিজের প্রয়োজনীয় বস্তুটি খুঁজছেন। এদের মধ্যে ব্যতিক্রম রুমানা আক্তার তানজিদা। আনন্দ স্কুলে পঞ্চম শ্রেণির এ শিক্ষার্থীর সব বই পুড়ে গিয়েছে। সে আপন মনে নিজের পুড়ে যাওয়া বইগুলো ঘাটছিলো।
ভারাক্রান্ত মন নিয়ে রুমানা জানায়, আগুনে তার সব বই খাতা পুড়ে গেছে। বড় হয়ে ডাক্তার হয়ে গরিব মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিতে চায় সে।
রুমানার দিনমজুর বাবা বাদল বলেন, স্বল্প আয় দিয়ে সন্তানদের পড়াশোনা করাচ্ছি। আমার দুই সন্তান রুমানা ক্লাস ফাইভে আর ছেলে শরিফ ইসলাম রাসেল দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করবো সন্তানরা যতটুকু পড়াশোনা করতে চায় তা করানোর। তবে আগুনে ঘরের অন্যান্য মালামালের পাশাপাশি সব বইখাতা পুড়ে যাওয়ায় সন্তানদের স্বপ্ন পুরন নিয়ে চিন্তিত তিনি।
শুক্রবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে চলন্তিকা বস্তিতে আগুনের সূত্রপাত হলে মুহূর্ত্যইে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে শারমিন নামের এক নারী অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধিন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার অবস্থা সংকটাপন্ন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।