নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটা যেন ভারতের জন্য অনেক কিছু হারিয়ে ফেলার এক উপলক্ষ্য। সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই ৪৬ রানে অলআউট হয়েছিল। সেই একটা ইনিংসেই একাধিক অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড নিজেদের পাশে যুক্ত করেছিল টিম ইন্ডিয়া। এরপর থেকে দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়েনি রোহিত শর্মার দলের। ১ যুগ পর ঘরের মাঠে সিরিজ হারের দিনও দেখতে হয়েছে তাদের।
ওয়াংখেড়েতে সিরিজের শেষ টেস্টে এসে অবশ্য তুলনামূলক ভালো অবস্থানে আছে ভারত। সম্ভাবনা আছে জয়ের। শেষ টেস্টের দুই দিন শেষেই জয়ের অনেকটা কাছাকাছি স্বাগতিকরা। যদিও এই দিনেও ৫০ বছর আগের লজ্জার রেকর্ড ভেঙেছে তারা। সেটাও একের পর এক ডাক মেরে।
দ্বিতীয় দিনে নিজেদের প্রথম ইনিংসে মোট ২৬৩ রান করে অলআউট হয় রোহিত শর্মার দল। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন আকাশ দীপ। আউটের সময় তার ছিল শূন্য রান। আকাশ দীপের ডাকের মাধ্যমে এই সিরিজে ১৩তম ডাক দেখেছে ভারত।
ভারতের ইনিংসে আকাশ দীপ ছিলেন শূন্য রানে আউট হওয়া তৃতীয় ব্যাটসম্যান। আর পুরো সিরিজ ধরলে ১৩তম। পরিসংখ্যান বলছে, তিন বা তার চেয়ে কম ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এই প্রথম ভারতের ব্যাটসম্যানরা ১৩ বার শূন্য রানে আউট হলেন। যদিও শূন্যের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস যে এখনো বাকি।
পেছন ফিরে তাকালে দেখা যায়, সিরিজের প্রথম টেস্টেই ছিল ৭ ডাক। ভারতের প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে আউটের পথে ডাক ছিল ৫টি। দ্বিতীয় ইনিংসে সংখ্যাটা কমে আসে—২ জন আউট হন শূন্য রানে। এরপর পুনেতে দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হন দুজন, দ্বিতীয় ইনিংসে একজন। এবার ওয়াংখেড়েতে ভারতের প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছেন আকাশ দীপসহ তিনজন। অন্য দুজন সরফরাজ খান ও মোহাম্মদ সিরাজ।
তিন বা তার চেয়ে কম ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এর আগে ভারতের সর্বোচ্চ ১২ জন ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হয়েছেন। ১৯৭৪ সালে সেটি ছিল ইংল্যান্ডের মাঠে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এরপর মাঝে ১৯৯৯–২০০০ বোর্ডার–গাভাস্কার সিরিজ এবং ২০২১–২২ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে ভারতের ১০ জন ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হন।
তবে এর সবই ছিল ঘরের বাইরের সিরিজ। ঘরের মাঠে এত ডাক মারার ঘটনা এবারই প্রথম। পুরো দলে শুভমান গিল এবং ওয়াশিংটন সুন্দর ছাড়া যারাই মাঠে নেমেছেন, অন্তত ১টি করে ডাক মেরেছেন। সেদিক থেকেও সিরিজটায় আলাদা লজ্জার রেকর্ড নিজেদের নামের পাশে জুড়ে নিয়েছে ভারত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।