জুমবাংলা ডেস্ক: ইউএনও ওয়াহিদা খানমের শরীরের ডান পাশের কিছুটা উন্নতি হয়েছে, তিনি হাতের আঙ্গুল নাড়ানোর চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) মুখের সেলাই খোলা হয়েছে এবং শনিবার মাথার সেলাই খোলার পর মেডিকেল বোর্ড মিটিংয়ে বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে, সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদাকে আইসিইউ থেকে এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তবে আপাতত তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হচ্ছে না বলে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ৩টার দিকে সরকারি বাসভবনে ঢুকে দিনাজপুরে ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা ও তার বাবার ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তাদেরকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে দুষ্কৃতকারীরা।
গুরুতর অবস্থায় তাদের প্রথমে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে রংপুর কমিউনিটি হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে আসা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ওয়াহিদা খানমকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে রংপুর থেকে ঢাকায় আনা হয়।
ওয়াহিদা খানমের মা বলেন, যে আক্রমণ করেছেন; সে বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে ভেতরে ঢুকেছে; আমার মেয়ে ঘুমে ছিল। সে সময়ে আক্রমণ করেছে। তখন সে (ওয়াহিদা) চিৎকার বলেছে, আব্বা দেখেন-তো কোন বেয়াদব বাসায় ঢুকেছে। যখন গেটের কাছে এসেছে, তখন তারা বাবাকে ধরেছে।
পরে, শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে দিনাজপুরের হাকিমপুর থেকে ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।
হাকিমপুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ গণমাধ্যমে জানায়, পুলিশ আর র্যাবের যৌথ অভিযানে তারা ধরা পড়েন। তারা দু’জন ইউএনওর বাসায় ঢোকেন। সিসিটিভিতে তাদেরই দেখা গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।