আমাদের মহাবিশ্বে এমন কিছু অদ্ভুত বস্তু বা ম্যাটার রয়েছে যার বৈশিষ্ট্য বোঝা আসলেই অনেক কঠিন। ডার্ক এনার্জি কী সেটা এখনো বিজ্ঞানীরা পুরোপুরি বুঝতে সক্ষম হয়নি। তবে মহাবিশ্বের দ্রুত গতিতে প্রসারণের সাথে ডার্ক এনার্জির সম্পর্ক রয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন।
তাছাড়া এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা যে কয়টি থিওরি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন তার সাথে অনেক কিছুরই মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি পূর্বের পর্যবেক্ষণগুলিও সব সত্য মনে হচ্ছে না।
তবে লুক্সেমবার্গের দুইজন বিজ্ঞানী এর রহস্য সমাধানের সম্ভবত একটি উপায় খুঁজে পেয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে ডার্ক এনার্জি নিয়ে গবেষণা করার ক্ষেত্রে ভ্যাকুয়াম এনার্জির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে বিজ্ঞানীরা।
কণা এবং প্রতিকণার একবার দৃশ্যমান হওয়া এবং পুনরায় অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার সাথে এ শক্তির সম্পর্ক রয়েছে। এসব কণা এবং প্রতিকণা দ্রুত অদৃশ্য হয়ে গেলেও তারা এনার্জি তৈরি করতে পারে।
তবে গবেষকদের এই থিওরির সাথে আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বের মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বে ভ্যাকুয়াম এনার্জিকে মহাজগতিক ধ্রুবক হিসেবে গণ্য করা হয়।
তবে কোয়ান্টাম ফিল্ড থিওরিতে যে রেজাল্ট এসেছে তার সাথে বেশ অসংগতি পাওয়া যায়। তবে এসব রহস্য সমাধানের ক্ষেত্রে লুক্সেমবার্গের দুই বিজ্ঞানী প্রফেসর আলেকজান্দ্রে টাকাচাঙ্ক এবং ডক্টর দ্বিমিত্রী ফেডারভ একটি প্রত্যাশিত উপায় খুঁজে পেয়েছেন।
কণা ও প্রতিকণা থেকে যে এনার্জি আসছে সে প্রক্রিয়াতে নিজেদের মধ্যে মিথষ্ক্রয়ার ঘটনা ঘটছে। তবে এ মিথষ্ক্রয়ার বিষয়টি বিজ্ঞানীরা যেমন পরিমাপ করতে পারবেন তেমনি তার ঘনত্বও নির্ধারণ করতে পারবেন।
এ এনার্জির ঘনত্ব বোঝার জন্য বিজ্ঞানীরা নতুন একটি মডেল ব্যবহার করেছেন। গবেষকরা মনে করেন যে, মহাজগতিক ধ্রুবক থেকে যে রহস্য এসেছে তা সমাধানের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় পদক্ষেপ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।