ডার্ক ম্যাটার হলো এমন একটি রহস্যময় পদার্থ যা বিজ্ঞানীরা ১৯৩০ সাল থেকে বোঝার চেষ্টা করছে। ছায়াপথগুলিকে একত্রে ধরে রাখছে ডার্ক ম্যাটার ও মহাবিশ্বের সব জায়গায় এটি ছড়িয়ে আছে। কিন্তু এখনও গবেষকেরা এটি সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানো না।
প্রথমত ডার্ক ম্যাটার বিভিন্ন ধরনের কণা দ্বারা গঠিত হতে পারে। মধ্যাকর্ষণ ব্যতীত অন্য ধরণের শক্তির সাথে এদের মিথস্ক্রিয়া হতে পারে। পদার্থবিদরা বিভিন্ন ধরনের ডার্ক ম্যাটারের প্রস্তাব করেছেন যারা প্রত্যেকেরই নিজস্ব শক্তিমত্তা এবং দুর্বলতা রয়েছে।
WIMP হলো সবথেকে জনপ্রিয় ডার্ক ম্যাটার। এ ধরনের ডার্ক ম্যাটার যেকোনো স্বাভাবিক পদার্থের সাথে মিথস্ক্রিয়া করতে পারে। তবে WIMP টাইপের ডার্ক ম্যাটার শনাক্ত করা বেশ কঠিন। বিজ্ঞানীরা এ ধরনের ডার্ক ম্যাটার খুঁজে বের করার জন্য অনেক সময় এবং অর্থ ব্যয় করেছেন। তবে উল্লেখ করার মতো সাফল্য অর্জিত হয়নি।
MACHO নামে একটি কম্প্যাক্ট অবজেক্ট রয়েছে। এ ধরনের ডার্ক ম্যাটার বিজ্ঞানীরা অন্বেষণ করছেন। ডার্ক ম্যাটার অধ্যায়ন করার ক্ষেত্রে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এটি আলোর সাথে মিথস্ক্রিয়া করে না। ডার্ক ম্যাটার অধ্যায়নের জন্য বিজ্ঞানীদের পরোক্ষ প্রমাণের উপর নির্ভর করতে হয়।
গ্যালাক্সির গতিবিধি অধ্যয়ন করার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা ডার্ক ম্যাটারের ধারণা পেতে পারে। ছায়াপথগুলি কীভাবে ঘোরে তা পরিমাপ করা হয়। ডার্ক ম্যাটার কণার সাথে স্বাভাবিক পদার্থের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে বিজ্ঞানীরা তারও প্রমাণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। ডার্ক ম্যাটার অধ্যয়ন করার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
ডার্ক ম্যাটার খুঁজে বের করা কঠিন হলেও বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় শীতল পদার্থযুক্ত টুল ব্যবহার করা হয়। ডার্ক ম্যাটার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলে মহাবিশ্ব মৌলিক স্তরে কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে ভালভাবে বোঝা সম্ভব হবে। ফলশ্রুতিতে মহাবিশ্ব অধ্যায়নের জন্য নতুন প্রযুক্তি এবং কৌশল বিকাশ হতে থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।