বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনটে ধর্ষণে জন্ম নেয়া এক মেয়ের দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাবার পরিচয় মিলেছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ভুক্তভোগী, তার সন্তান ও ধর্ষকের ডিএনএ পরীক্ষায় এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। আদালত ধর্ষক বাবা মাহফুজার রহমানকে ওই ধর্ষণ মামলায় ছয় বছর আগে যাবজ্জীবন সাজা দেন। তিনি বর্তমানে বগুড়া কারাগারে রয়েছেন।
শুক্রবার ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এজাহার সূত্র জানায়, বাঙালি নদী ভাঙনের শিকার এক তরুণী তার মায়ের সঙ্গে ধুনটের সোনাহাটা বাজার এলাকায় সড়কের পাশে কুঁড়ে ঘর তুলে বসবাস করছিলেন। ২০০১ সালে জয়শিং গ্রামের গমির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে বখাটে মাহফুজার রহমান ঘরে ঢুকে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে।
এতে তিনি অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়েন। এ ব্যাপারে তিনি ধুনট থানায় মাহফুজার রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন।
মামলাটি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ওই তরুণী এক মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন। বর্তমানে তার বয়স প্রায় ১৭ বছর। এদিকে ওই ধর্ষণ মামলায় আদালত প্রায় ছয় বছর আগে মাহফুজারকে যাবজ্জীবন সাজা দেন। তিনি বর্তমানে বগুড়া কারাগারে আছেন।
মাহফুজার রহমান ওই সন্তানের দায় এড়াতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। আদালতের নির্দেশে সিআইডি সদর দফতরের দীপংকর দত্ত নামে এক বিশেষজ্ঞ গত ৩০ জুন মাহফুজার রহমান, ভুক্তভোগী ও তার মেয়ের ডিএনএ পরীক্ষা করেন। পরীক্ষায় ওই মেয়ে মাহফুজার রহমানের সন্তান নিশ্চিত হয়।
গত ৬ আগস্ট ওই কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র ঢাকা সিআইডির সদর দফতর থেকে বৃহস্পতিবার ধুনট থানার ওসির কাছে পৌঁছে।
ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, ডিএনএ পরীক্ষার প্রত্যয়নপত্রের বিষয়টি সাজাপ্রাপ্ত মাহফুজার, ভুক্তভোগী ও তার মেয়েকে অবহিত করা হয়েছে। এটা আদালতে ফয়সালা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।