জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি বাড়ি ঘেরাও করার ঘটনায় মোহাম্মদপুরের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে গ্রেফতার করার পর ছেড়ে দেয়ায় বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
গতকাল হান্নান মাসুদের হস্তক্ষেপে তারা ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, কোনো মামলা না থাকায় ওই তিন সমন্বয়ককে ছাড়া করা হয়েছে এবং তাদের সতর্ক করা হয়েছে।
রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দোসরদের ধরিয়ে দেওয়ার নামে কোনো ধরনের মব গড়ে তোলা যাবে না। কারো বিরুদ্ধে তথ্য থাকলে পুলিশকে জানানো উচিত।’
আজ বুধবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে হাজারীবাগে দুই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতারদের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রমনা বিভাগের ডিসি আরও জানান, ধানমন্ডিতে সমন্বয়ক পরিচয়ে বাড়ি ঘেরাও করার ঘটনায় চাঁদার দাবির কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। যারা ভুক্তভোগী তারা অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৫ আগস্ট রাতে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা রয়েছে, মব গড়ে কাউকে হয়রানি করা যাবে না।
তিনি বলেন, ‘গত পরশু রাতে যা দেখেছেন, ভবিষ্যতেও তেমনটাই হবে। বাড়ি ঘেরাও বা কাউকে ধরিয়ে দেওয়ার নামে কেউ পুলিশের ভূমিকা নিতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের বড় কোনো পদধারী বা সহযোগী সম্পর্কে তথ্য থাকলে তা জানাতে পারেন, আমরা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেব। তবে এভাবে বাড়ি ঘেরাও করার সুযোগ নেই। আমি কাউকে বিশৃঙ্খলা করতে দিব না।’
হান্নান মাসুদের হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে ডিসি মাসুদ আলম জানান, ‘হস্তক্ষেপ নয়। তাদের ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই আটক করা হয়েছিল। মামলা না থাকায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মুচলেকায় বলা হয়েছে, এটি শেষবার। পুনরায় এমন ঘটনার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।