ডিএসইর বাজার মূলধন হারাল আরও ১১ হাজার ২০৮ কোটি টাকা

জুমবাংলা ডেস্ক : সূচকের পতনের মধ্যদিয়ে চলতি সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার ২০৮ কোটি টাকা।

পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে তথ্যটি জানা যায়।

ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই)
সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১.৬৯ শতাংশ বা ১১ হাজার ২০৮ কোটি টাকা। চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫২ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা।

চলতি সপ্তাহে কমেছে ডিএসইর সবকটি সূচক। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯১.৩৯ পয়েন্ট বা ১.৭৬ শতাংশ। এছাড়া, ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৩০.০২ পয়েন্ট বা ১.৫৭ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক কমেছে ২৩.০৬ পয়েন্ট বা ২.০৬ শতাংশ।

সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬১০ কোটি ৯২ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ২২১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৬১০ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

এদিকে, প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১২২ কোটি ১৬ লাখ টাকা বা ২৭.৪৯ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩২২ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৪৪৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৬টি কোম্পানির, কমেছে ২৯৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)
এদিকে, সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ও সিএসসিএক্স যথাক্রমে ১.৯০ শতাংশ ও ১.৯১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪৩০৪.০০১ পয়েন্টে ও ৮৭০২.০০২ পয়েন্টে।

এছাড়া, সিএসআই সূচক ১.৭০ শতাংশ ও সিএসই-৩০ সূচক ০.২০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯২৫.৩৮ পয়েন্টে ও ১১৭৫৫.৯২ পয়েন্টে। আর সিএসই-৫০ সূচক কমেছে ২.২৬ শতাংশ। সূচকটি অবস্থান করছে ১০৮৩.৮৩ পয়েন্টে।

চলতি সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, যা এর আগের সপ্তাহে ছিল ২৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সপ্তাহ ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৫৬ লাখ টাকা।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৭টির, কমেছে ২১৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টি কোম্পানির শেয়ার দর।

বিয়ের ছয়মাসে অন্তঃসত্ত্বার গুঞ্জন নিয়ে যা বললেন সোনাক্ষী