জুমবাংলা ডেস্ক : সরকার ২০০৯ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসার ঘটেছে সত্যি কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তায় সক্ষমতার ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ দ্রুত দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তায় সক্ষমতা তৈরির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যাবহারকারী সংখ্যা ৯ কোটি ৮১ লক্ষ ৩৬ হাজার। দৈনিক ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে ১ হাজার ৪ শত জিবিপিএস (গিগাবিটস পার সেকেন্ড)।
দৈনিক মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন ১২ হাজার কোটি টাকা, ই-কমার্সে লেনদেন ৫০০ কোটি টাকা। বর্তমানে দেশে মোট জনগণের ৫৫ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। বাকী ৪৫ শতাংশ নাগরিক ইন্টারনেট ব্যবহার করলে প্রযুক্তির ব্যবহার কোথায় দাঁড়াবে তা বলে বোঝানো যাবে না।
২০২১ সালের মধ্যে সরকার ৫জি চালু করতে চাচ্ছে। যার গতি হবে জিবিপিএস ফলে ইন্টারনেটের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে দেশ দ্রুত ধ্বংসের দিকে যাবে এ কথা নিশ্চিত করে বলা যায়। ই-কমার্সে দেশে সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান দরাজের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগের সংখ্যা ২১২টি। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে হ্যাকাররা প্রতিদিনই নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
অনলাইনে ক্যাসিনো, বাজী, ব্যাটিংসহ অসংখ্য জুয়ার সাইট পরিচালিত হচ্ছে বিদেশ থেকে। দেশীয় অপরাধীরা দ্রুত সক্রিয় হচ্ছে প্রযুক্তি ব্যবহারে। দেশে প্রযুক্তি নিরাপত্তার কথা বলে ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সরকার প্রণয়ন করে। কিন্তু এ সকল আইন দিয়ে প্রযুক্তিকে যে নিরাপদ করা যায় না তা প্রমাণিত।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের প্রযুক্তি খাতের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় রয়েছে। কিন্তু এ মন্ত্রণালয়ের প্রযুক্তি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করার জন্য কোনা ব্যবস্থা আমরা লক্ষ করি নাই। আমাদের আহবান দ্রুত প্রযুক্তির নিরাপত্তা তৈরির জন্য সক্ষমতা তৈরি, জনসচেতনতা, কারিগরি শিক্ষা ও প্রযুক্তির সুষম ব্যবহার নিশ্চিত করার ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।