বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা নীতিতে বড় ধরনের সংশোধনী আনছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এই সংশোধনী প্রস্তাব করেছে। নতুন নীতিতে সাইবার অপরাধ মোকাবেলা এবং ডেটা সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
এই সংশোধনীর খসড়া ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হয়েছে। Reuters এবং AFP এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন নীতিটি ডিজিটাল লেনদেনের নিরাপত্তা বাড়াবে। এতে সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
নতুন নীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য
নতুন নীতিতে ডেটা লোকালাইজেশনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বিদেশী কোম্পানিগুলোকে স্থানীয় সার্ভারে ব্যবহারকারীর ডেটা সংরক্ষণ করতে হবে। এটি ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সাইবার অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। ফিশিং, হ্যাকিং এবং ডেটা চুরির জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া জরিমানার পরিমাণও বাড়ানো হবে।
ব্যবসায়ীদের জন্য কী অর্থ দাঁড়ায়
নতুন নীতিতে সব ধরনের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হবে। ই-কমার্স সাইট, ফিনটেক এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। এটি ভুয়া ব্যবসা রোধে সাহায্য করবে।
ব্যবসায়ীদের জন্য ডেটা সুরক্ষা নীতিমালা মানতে হবে। গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। কোনো তথ্য চুরি হলে তা ৭২ ঘন্টার মধ্যে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
সাধারণ মানুষের জন্য সুবিধা
নতুন নীতিতে অনলাইন লেনদেন নিরাপদ হবে। ব্যাংকিং এবং মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসে নিরাপত্তা বাড়বে। এতে করে অর্থ চুরির ঘটনা কমে আসবে।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারেও নিরাপত্তা বাড়বে। ব্যক্তিগত তথ্য অপব্যবহার রোধে কঠোর নিয়ম আসছে। কোনো অ্যাপ অনুমতি ছাড়া সংগ্রহ করতে পারবে না।
কবে থেকে কার্যকর হবে নতুন নীতি
খসড়া নীতিটি আগামী মাসে চূড়ান্ত হওয়ার কথা। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর এটি কার্যকর হবে। Bloomberg এর তথ্য অনুযায়ী, পুরো বাস্তবায়নে ৬ মাস সময় লাগতে পারে।
প্রথম পর্যায়ে বড় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোকে নীতিমালা মানতে হবে। ছোট ব্যক্তিদের জন্য সময় বাড়ানো হতে পারে। সরকার পর্যায়ক্রমে সবাইকে এই নীতির আওতায় আনবে।
**বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা নীতি** এখন পর্যন্ত সবচেয়ে comprehensive হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। **সাইবার নিরাপত্তা** জোরদার করতে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত সময়োপযোগী। নতুন নীতি ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিশন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জেনে রাখুন-
নতুন ডিজিটাল নীতির মূল উদ্দেশ্য কী?
সাইবার অপরাধ রোধ এবং ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা নিশ্চিত করা। ডিজিটাল লেনদেন নিরাপদ করা।
ডেটা লোকালাইজেশন বলতে কী বোঝায়?
বিদেশী কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে স্থানীয় সার্ভারে ব্যবহারকারীর ডেটা সংরক্ষণ করতে হবে। এটি তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
নতুন নীতিতে কী ধরনের শাস্তির বিধান আছে?
সাইবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড। এছাড়া জরিমানার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের জন্য কী বাধ্যবাধকতা আসছে?
সব ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে নিবন্ধন করতে হবে। গ্রাহকদের ডেটা সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।
নতুন নীতি কবে থেকে কার্যকর হবে?
মন্ত্রিসভার অনুমোদনের ৬ মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন শুরু হবে। বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রথমে মানতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।