জুমবাংলা ডেস্ক : দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধি ও কবরস্থানের ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেওয়ায় ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার-২০২২ পাচ্ছেন কুড়িগ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা চৌধুরী তানভীর ইসলাম অন্তু। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২২-এর উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পুরস্কার প্রদান করবেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধি ও কবরস্থানের ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার উদ্যোক্তা চৌধুরী তানভীর ইসলাম অন্তু নিজে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল (অতিরিক্ত সচিব) স্বাক্ষরিত পত্রের বরাত দিয়ে অন্তু বলেন, ‘জেলা পর্যায়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার-২০২২-এর সাধারণ বেসরকারি ক্যাটাগরিতে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধি ও কবরস্থানের ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা উদ্যোগটি চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে। আমি আমন্ত্রণপত্র পেয়েছি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছি। সবকিছু ঠিক থাকলে সোমবার বিআইসিসির হল অব ফেমে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করবো বলে আশা করছি।’
‘ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশকে ডিজিটালাইজড করেছেন বলেই আমরা এমন উদ্যোগ নিতে পেরেছি। তাই তার হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ সত্যিই গর্বের।’ যোগ করেন অন্তু চৌধুরী।
নিজের পুরস্কার জেলাবাসীর প্রতি উৎসর্গ করবেন জানিয়ে অন্তু বলেন, ‘এই প্রাপ্তিতে জেলাবাসীর সমর্থন ও ভালোবাসা রয়েছে। তাই এই পুরস্কারের কৃতিত্ব তাদের। আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে এবং অপ্রতিরোধ্য কুড়িগ্রামের পক্ষ থেকে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
প্রসঙ্গত, চৌধুরী তানভীর ইসলাম অন্তু ‘অপ্রতিরোধ্য কুড়িগ্রাম’ নামক সামাজিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সংগঠনটির সভাপতি। এই তরুণ উদ্যোক্তার উদ্যোগে ২০২২ সালের ২১ আগস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধি ও কবরস্থানের ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
ডিজিটাল কবর ব্যবস্থাপনা নিয়ে অন্তু চৌধুরী বলেন, ‘জাতির শ্রেষ্ঠসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধি ও তাদের বীরত্বের কাহিনিগুলো আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় তাদের কবর ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেয় অপ্রতিরোধ্য কুড়িগ্রাম। শুধু মুক্তিযোদ্ধা নন, সাধারণ মানুষের কবরও এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে স্বজনরা সহজেই তাদের পরিবারের মৃত সদস্যদের কবর খুঁজে পাবেন।
অনেক সময় কবরস্থানগুলোতে এক কবরের ওপরে আরেক কবর দিলে আগের কবর খুঁজে পাওয়া যায় না। এমনকি সেখানে কার কবর ছিল সে চিহ্নও থাকে না। কিন্তু কবর ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ মিলবে। এ পর্যন্ত ফুলবাড়ী উপজেলার ৮৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর এবং জেলা শহরের কেন্দ্রীয় কবরস্থানের প্রায় দেড় হাজার কবরবাসীর তথ্য ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। কবরগুলোতে কিউআর কোড বসানো হয়েছে। সেই কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে কবরের মরহুম বা মরহুমার সব তথ্যাদি পাওয়া যাবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।