জুমবাংলা ডেস্ক : প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের জনবল সংকটসহ নানা কারণে ডিজিটাল ভূমি জরিপ প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যদিও ডিজিটাল ভূমি জরিপ বাতিলের সংবাদ গুজব বলছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি ‘৩৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ের পর বাতিল হচ্ছে ডিজিটাল ভূমি জরিপ প্রকল্প’ কিংবা ‘ডিজিটাল ল্যান্ড সার্ভে স্ক্যাপড’ শিরোনামে একটি ভুল তথ্য অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। যা সম্পূর্ণ গুজব।
বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, সমগ্র বাংলাদেশে দক্ষভাবে জরিপ পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে’ প্রোগ্রাম মূলত দুইটি প্রকল্পের মাধ্যমে সম্পাদন করা হচ্ছিল। এর একটি হচ্ছে ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করার জন্য ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের ডিজিটাল জরিপ পরিচালনার সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প’ (সিডিপি প্রকল্প) এবং অপরটি হচ্ছে ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপের মাধ্যমে ৩টি সিটি করপোরেশন, ১টি পৌরসভা এবং ২টি গ্রামীণ উপজেলার ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি স্থাপন প্রকল্প’ (ইডিএলএমএস প্রকল্প)।
‘সিডিপি প্রকল্পে ৩৩৬ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে বলে গুজবে দাবি করা হলেও প্রকৃতপক্ষে প্রকল্পে গাড়ি, অফিস সরঞ্জাম, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা এবং প্রশিক্ষণে এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা। দেখা যায় প্রকল্পের মোট ১ হাজার ২১২.৫৫ কোটি টাকার বিপরীতে ৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা অর্থাৎ ০.৩০ শতাংশ আর্থিক ব্যয় করে প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ০.২৮ শতাংশ।’ প্রসঙ্গত, সিডিপি প্রকল্পের আওতায় পটুয়াখালীর ইটবাড়িয়া মৌজায় ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলক জরিপ কাজও শেষ হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ প্রকল্প কার্যক্রমের শুরু থেকেই সামসময়িক সময়ে সারা দেশে বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে এর অগ্রগতি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। এ ছাড়াও প্রায় ১ বছর প্রকল্পটি ‘গ’ ক্যাটাগরির প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকার ফলে কোন বাস্তব অগ্রগতি সম্ভব হয়নি। শুধু চলমান অর্থবছরে এ প্রকল্পের বিপরীতে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়। যেহেতু প্রকল্পটি সংশোধনের প্রস্তাবনা করা হয় বিধায় কোনো ভৌতিক ও আর্থিক অগ্রগতি প্রচেষ্টা চালানো হয়নি। সিডিপি প্রকল্প স্টাডি করে অধিকতর দক্ষ করে নতুনভাবে প্রস্তাব করা হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে বলা হয়, ইডিএলএমএস প্রকল্পটি দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় ৫টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ভূমি মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করছে। যার অগ্রগতি ২৪ শতাংশের উপরে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ডিজিটাল ভূমি জরিপ কার্যক্রম বর্তমানে পুরোদমে চলমান।
ইডিএলএমএস প্রকল্পটি দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় ৫টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ভূমি মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করছে। যার অগ্রগতি ২৪ শতাংশের বেশি। অর্থাৎ বাংলাদেশ ডিজিটাল ভূমি জরিপ কার্যক্রম বর্তমানে পুরোদমে চলমান বলে জানিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
সিপিডির কাছে ৯২ হাজার কোটি টাকার সন্ধান চাইলেন ওবায়দুল কাদের
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।