দিন যত যাচ্ছে দেশে ডিজিটাল মাধ্যমে টাকার লেনদেন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি অনলাইন দুনিয়ায় সাইবার অপরাধ বাড়ছে। এর ফলে অনেক মানুষ অর্থ হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে এবং পাশাপাশি এসব ঝুঁকি কিভাবে মোকাবেলা করা যায় সে চেষ্টা করার দিকে মনোযোগী হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
ডিজিটাল মাধ্যম দিয়ে আমাদের অর্থনৈতিক খাত আরো শক্তিশালী হবে বলে মনে করেন তিনি। সামনে ব্যাংক খাত আরো বেশি শক্তিশালী হবে এবং পাশাপাশি আমাদের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে। ডিজিটাল লেনদেনের সিস্টেম থাকার কারণে অর্থনৈতিক লেনদেন আগের থেকেও বেশি নিরাপদ এবং দ্রুত হয়েছে। যখনই টাকার দরকার এসব মাধ্যম ব্যবহার করে মেটানো যাচ্ছে। যখনই দরকার হচ্ছে সহজে বিল পে করা যাচ্ছে।
অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম আরটিজিএস-এর মানোন্নয়ন নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আয়োজনে আলোচনায় সভায় বক্তারা বলেন, দিন দিন ডিজিটাল মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে। সাথে সাথে বাড়ছে নিরাপত্তা ঝুঁকিও।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘আমাদের ঘুমাতে যাওয়ার সময় হঠাৎ যদি মনে পড়ে যে কোনো বিল বাকি রয়েছে, আমরা বিছানায় শুয়ে বিলটা পরিশোধ করতে পারছি। রাত ১২টার সময় স্বজন হাসপাতালে জরুরি ওষুধ কিনতে হবে কিন্তু পকেটে পর্যাপ্ত ক্যাশ নেই। নিকততম কোনো এটিএম ব্যবহার করে তাৎক্ষণিক ক্যাশের চাহিদা মেটাতে পারি।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, আর্থিক খাতে হ্যাকিংসহ যেসব ঝুঁকি রয়েছে, তা মোকাবিলায় সবাইকে সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের তাগিদ দেন তিনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে অনেকখানি উজ্জীবিত করতে পারছি। অর্জন হয়েছে অনেক। যেভাবে আমাদের ভলিউম বাড়ছে, যেভাবে আমরা এগোচ্ছি তাতে আমাদের আপগ্রেডেশন না করে উপায়ও ছিল না। এটা করতেই হতো এবং আরো করতে হবে আগামীতে কোনো সন্দেহ নেই।’
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বর্তমানে বছরে ১৭ লাখ কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। শিগগিরই তা ২৫ লাখ কোটিতে পৌঁছানোর আশা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।