জুমবাংলা ডেস্ক : প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, সরকারি অথবা বেসরকারি কর্মকর্তাদের সিগনেচার বা স্বাক্ষর নকল করে দেশে নানা রকম প্রতারণা হচ্ছে। এসব প্রতারণা বন্ধের পাশাপাশি সরকারি কার্যক্রমে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল সিকিউরিটি বা ডিজিটাল সিগনেচার ভূমিকা রাখবে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে পাবলিক কি ইনফ্রাস্ট্রাকচার (পিকেআই) সামিটে তিনি এসব কথা বলেন।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশে স্বাক্ষর জাল করে প্রতারণায় সংখ্যা অনেক বাড়ছে। এসব প্রতারণারোধে ডিজিটাল স্বাক্ষর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি। পিকেআই শুধু ডিজিটাল স্বাক্ষর না, এখানে অনেকগুলো বিধিবিধানও রয়েছে। স্বাক্ষর জাল করে টাকা তুলছে, ইএনওর স্বাক্ষর জাল করে প্রতারণা করছে। এমন অনেক প্রতারণা হচ্ছে। অনেকসময় এসব জালিয়াতি বা প্রতারণা ধরতে অনেক জায়গায় তদন্ত করতে হয়, দৌড়াতে হয়। তা যেমন সময় সাপেক্ষের ব্যাপার এবং ব্যয়বহুল।
তিনি বলেন, আমরা যখন সিকিউরিটি বা ডিজিটাল সিগনেচারের কথা বলি আমাদের সচিব বা ডিজি মহোদয়, যারা কর্মকর্তা আছেন তারাই প্রোগ্রামগুলোতে খুব আগ্রহ দেখাতে চান না। এই বাড়তি খরচের কারণে ডিজিটাল ইকোনমিত যে ক্ষতিটা হচ্ছে এই ক্ষতিটা অপূরণীয়। এজন্য আমাদের সবার এগিয়ে আসা দরকার।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, কেপিআই কেন দরকার, ডিজিটাল সিকিউরিটি কেন দরকার, সাইবার সিকিউরিটি কেন দরকার, সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস কেন দরকার তা বোঝার জন্য মতবিনিময় এবং কথা বলার মাধ্যমে আমাদের পরস্পরের সাথে বেশি বেশি আলোচনা দরকার। যাতে সচেতনতা ও অ্যাওয়ারনেস বৃদ্ধি পায়।
তিনি আরও বলেন, দেশে প্রায় সাড়ে চার হাজারের বেশি ইউনিয়ন রয়েছে, সিটি করপোরেশন রয়েছে, কয়েকশ পৌর করপোরেশন রয়েছে। এ প্রত্যেকটা অফিস এবং আমাদের মন্ত্রণালয়, বিভাগ প্রতিদিন তারা প্রচুর ডকুমেন্ট জেনারেট করে। একই সঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা কিংবা জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন তারা প্রতিদিন শত শত ট্রেড লাইসেন্স জেনারেট করে। শিল্প মন্ত্রণালয়, শিক্ষা বোর্ড, মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন কিংবা হাসপাতালগুলো বিভিন্ন সার্টিফিকেট জেনারেট করে। এছাড়া ন্যাশনাল আইডি কর্তৃপক্ষ, জন্ম বা মৃত্যু রেজিস্ট্রেশন কিংবা পাসপোর্ট অথরিটি প্রত্যেকেই তারা নিজেরা ডকুমেন্ট তৈরি করে। এগুলো ডিজিটাল হওয়ার প্রয়োজন আছে। এই যে ম্যানুয়াল সার্টিফিকেট জমা দিচ্ছে, এই ম্যানুয়াল সার্টিফিকেট ভেরিফাই করার মতো আমাদের অবশিষ্ট জনবল নেই। তাই আমাদের সরকারি খাতে প্রশাসনিক কার্যক্রমকে কীভাবে ডকুমেন্ট বা সার্টিফিকেট ওরিয়েন্টেড করা যায়, সেজন্য আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। দায়িত্বের জায়গা থেকে এটিকে শক্তিশালী করতে হবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এটি করতে গেলে কিছু খরচের বিষয় আছে। খরচটা কীভাবে কমানো যায় তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি। একটি টিম করেছি একটু দেখেন সেই টিম বিভিন্ন মন্ত্রণালয় যাচ্ছে।
ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষের পর চীনের ‘পুরস্কার’! পাকিস্তান পাচ্ছে ৫০% ছাড়ে আধুনিক J-35A যুদ্ধবিমান
তিনি বলেন, সরকারি কার্যক্রমে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা সবাই যখন কনট্রিবিউট করা শুরু করবো, এগিয়ে আসবো, তখন দেশের ডিজিটাল এরিয়া, ডিজিটাল এন্টেনা এবং সাইবার স্পেস নিরাপদ হবে। সরকারি কার্যক্রম জালিয়াতমুক্ত হবে। তাই সবাইকে নিজ নিজ থেকে এগিয়ে আসতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।