ডিপ মানে গভীর এবং ফেক মানে নকল। ডিপফেক মানে গভীরভাবে নকল করা হয়েছে এরকম কিছুকে বোঝানো হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে অন্য ব্যক্তির কন্ঠ, চেহারা ইত্যাদি নকল করা হয় ডিপফেক সিস্টেমে। বর্তমানে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো এবং ভুলভাবে উপস্থাপন করার জন্য ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
এত নিখুঁতভাবে ভিডিও তৈরি করা হয় যে এটা বোঝা সম্ভব হয় না যে ব্যক্তিটি আসল নাকি নকল। সাম্প্রতিক সময়ে ভাইরাল হওয়া কিছু ডিপফেক ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় আলোচনা এবং সমালোচনার জন্ম হয়েছে।
ডিপফেক প্রযুক্তির অপব্যবহারের ফলে মানুষের নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়েছে। তারকা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা ডিপফেক প্রযুক্তির অপব্যবহারের শিকার হচ্ছেন। মৃত মানুষেরও এটির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
এসব ভিডিও অনেক বেশি বাস্তব মনে হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য ডিপফেক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়। একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এর নেতিবাচক প্রচারণা বহু লোককে উসকে দিতে পারে। ডিপফেক প্রযুক্তির মাধ্যমে এভাবে ভিডিও তৈরি করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
বলিউড তারকা থেকে শুরু করে বিশ্বজুড়ে অনেক সেলিব্রেটি ব্যক্তিদের নেতিবাচক রূপে উপস্থাপন করতে ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে তারকারা সামাজিকভাবে হেনস্থার শিকার হন। মানুষের কন্ঠ হুবহু নকল করার প্রযুক্তি এখন বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়টি সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। মানুষকে ফাঁদে ফেলা এবং ফাসানোর জন্য এই প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়। কৃত্রিম কন্ঠ ব্যবহারের নিরপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। যেসব তারকারা হারিয়ে গেছেন বা মারা গেছেন তাদের পুনরায় পর্দার সামনে নিয়ে আসার জন্য ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেমের অপব্যবহারের ফলে মানুষের গোপনীয়তা হুমকির মুখে পড়বে। মানুষের ব্যাংক তথ্য, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড ও আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন সহজে হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। মানুষের আইডি, পাসওয়ার্ড হ্যাক হয়ে যাবে সহজে। ডিপফেক প্রযুক্তি নিয়ে সারা বিশ্বে আলোচনা হলেও এ টেকনোলজিকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।