জুমবাংলা ডেস্ক: চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ চারজনের বিরুদ্ধে বনানী থানার দুই মাদক মামলার তদন্তভার পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
শুক্রবার সকালে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম গণমধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘র্যাব যে তিনটি মামলা করেছে, তার মধ্যে পর্নগ্রাফি আইনে করা মামলা ছাড়া দুটি মামলার তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশ পেয়েছে।’
বুধবার (৪ আগস্ট) ঢাকার বনানীতে পরীমনির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এই অভিনেত্রী এবং তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে আটক করে নিয়ে যায় র্যাব।
পরদিন বৃহস্পতিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব জানায়, পরীমনির বাসায় একটা মিনি বার ছিল এবং তার বাসায় নিয়মিত পার্টি হতো। সেই পার্টিতে মদসহ সব ধরনের মাদক সাপ্লাই দিতো নজরুল ইসলাম রাজ। রাজের নেতৃত্বে একটা সিন্ডিকেট ছিল, যাদের কাজই হলো উঠতি বয়সী তরুণীদের দিয়ে নানারকম অপকর্ম করানো। পরীমনিকে আটকের আগেরদিন মঙ্গলবার মিশুক ও জিসান নামে দুজনকে গ্রেফতারের পর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরীমনি ও রাজের বাসায় অভিযান চালানো হয়।
পরীমনি ও রাজসহ গ্রেফতার চারজনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদকের দুটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দুটিতে চার আসামি ৪দিন করে রিমান্ডে রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চারজনকে আদালতে তোলা হলে মাদক আইনের দুই মামলায় চারজনকে চার দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মামুনুর রশিদ।
পরীমনির পক্ষে তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন জানালেও তা নাকচ করে দেন বিচারক।
২০১৫ সালে নড়াইলের মেয়ে শামসুন্নাহার স্মৃতি ঢাকার চলচ্চিত্রে পরীমনি নামে অভিষিক্ত হন। সম্প্রতি এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তুলেন তিনি। বিষয়টি তুমুল আলোচনার জন্ম দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।