জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন সহকারী কমিশনারের কক্ষের ড্রয়ারের তালা ভেঙে আলামত হিসেবে রাখা ৫ হাজার পিস ইয়াবা চুরির অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় রাজধানীর রমনা থানায় মামলার পরে সোহেল রানা (৩৮) নামে এক কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারের পর বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে আদালত সোহেল রানাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মো. মোখলেছুর রহমান এ তথ্য জানান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ আগস্ট সকাল ৭টার দিকে ডিবির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবু সুফিয়ান প্রধান গেটে দায়িত্ব পালনের জন্য মিন্টুরোডের ডিবি কার্যালয়ে যান। অফিস থেকে ডিবির জ্যাকেট নেয়ার জন্য সহকর্মী ফারুকের কাছ থেকে চাবি নেন তিনি।
পরে অফিসে গিয়ে দরজার সামনের বারান্দার সিলিং এবং ভেতরের দক্ষিণ কোণের সিলিং খোলা দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ডিবির সহকারী কমিশনার মজিবর রহমানকে মুঠোফোনে ঘটনাটি জানান আবু সুফিয়ান।
পরে কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, মজিবর রহমানের কক্ষের থাই অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি দরজা ও তিনটি ড্রয়ারের তালা ভাঙা। দ্বিতীয় ড্রয়ারে গেন্ডারিয়া থানার একটি মাদক মামলার আলামত হিসেবে ৫ হাজার পিস ইয়াবা রাখা ছিল, যার মূল্য আনুমানিক ১০ লাখ টাকা।
ইয়াবাগুলো খুঁজে না পেয়ে বিষয়টি ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। এরপর ইয়াবা চোর ধরার জন্য ডিবি অফিসের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, কনস্টেবল সোহেল রানা ইয়াবাগুলো চুরি করেছেন।
এরপর সোহেল রানাকে ডেকে আনা হয়। কিন্তু, জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম দিকে ইয়াবা চুরির কথা অস্বীকার করেন। পরে তাকে ভিডিও ফুটেজ দেখানো হলে স্বীকারোক্তি দেন। এরপর ইয়াবাগুলো সোহেল রানার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। আর চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি স্ক্রু ড্রাইভারও বাসায় পাওয়া যায়।
ওই ঘটনায় রমনা থানায় একটি মামলা করেন ডিবি পরিদর্শক মো. শাহাবুদ্দিন খলিফা। কনস্টেবল সোহেল রানাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।