বিনোদন ডেস্ক: সম্প্রতি দীর্ঘ বিবাহিত জীবনের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছিলেন তামিল সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা রজনীকান্তের বড় মেয়ে ঐশ্বরিয়া ও অভিনেতা ধানুশ। বিচ্ছেদের পরেই কোভিড আক্রান্ত হন ঐশ্বরিয়া। এরপর করোনামুক্ত হন পরিচালক। কিন্তু সোমবার ফের হাসপাতালে ভর্তি হলেন ঐশ্বরিয়া। সোমবার বিকেলে ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করে এ তথ্য জানিয়েছেন ঐশ্বরিয়া।
ছবিতে দেখা যায়, হাস্যোজ্জ্বল ঐশ্বরিয়া হাসপাতালের বিছানায় বসে আছেন। তার হাতে স্যালাইন লাগানো। তাকে ধরে আছেন এক নারী। ক্যাপশনে ঐশ্বরিয়া লিখেন, ‘কোভিডের আগে ও পরের জীবন। জ্বর, মাথা ঘোরার জন্য আবারও হাসপাতালে। কিন্তু দারুণ একজন অনুপ্রেরণামূলক ডাক্তারের সঙ্গে দেখা এবং তার সঙ্গে সময় কাটানো…।’
জি নিউজের খবরে বলা হয়, ব্যক্তিগত জীবনে জনপ্রিয় অভিনেতা ধানুশের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন ঐশ্বরিয়া। গত জানুয়ারি মাসে ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন ঐশ্বরিয়া। গত ১৭ জানুয়ারি মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে এক বিবৃতিতে ধানুশ লেখেন, ‘১৮ বছর একসঙ্গে বন্ধু, দম্পতি, মা-বাবা ও শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে ছিলাম। উন্নতি, পরস্পরের প্রতি বোঝাপড়া, মানিয়ে নেওয়া, আয়ত্ত্ব করার একটা জার্নি ছিল। আজ এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে যেখানে আমাদের পথ আলাদা হয়ে গেছে। ঐশ্বরিয়া ও আমি দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিজেদেরকে আরো ভালোভাবে বোঝার জন্য সময় নিচ্ছি।’ পাশাপাশি তাদের এই সিদ্ধান্তটিকে সম্মান জানানোর জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছেন ‘মারি’ সিনেমাখ্যাত এই অভিনেতা।
একই বিবৃতি পোস্ট করেন ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত। বিবৃতিতে তিনি নিজের নাম ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত লিখেছেন। ক্যাপশনে রজনীকান্ত কন্যা লিখেন, ‘কোনো ক্যাপশনের প্রয়োজন নেই। শুধু আপনারা বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করবেন এবং আপনাদের ভালোবাসা প্রয়োজন।’
যদিও এই জুটির সংসার টেকাতে তাদের পরিবারের সদস্যরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। ধানুশের বাবা চলচ্চিত্র নির্মাতা কাস্তুরি রাজা ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে জানান, ধানুশ ও ঐশ্বরিয়ার এই বিবাদের মূল কারণ তাদের মতবিরোধ। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এসব হয়েই থাকে। এটি প্রকৃতপক্ষে ডিভোর্স নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।