জুমবাংলা ডেস্ক : নাটোরের বড়াইগ্রামে ডিভোর্স দেওয়ার চারদিনের মাথায় শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর মুখে এসিড নিক্ষেপ করেছেন স্বামী। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় উপজেলার কমরদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর নাম নার্গিস আক্তার নুপুর (২৮)। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নার্গিস আক্তারের স্বামী আবু তালেবকে (৩৬) উপজেলার মৌখাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আবু তালেব উপজেলার আহমেদপুর এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে।
নার্গিস আক্তারের বাবা তায়েজ উদ্দিন জানান, সাত বছর আগে আবু তালেব জোর করে নার্গিস আক্তারকে বিয়ে করে। তালেব বিভিন্ন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এবং একাধিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় আত্মগোপনে চলে যান। পরে গত বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) নার্গিস আক্তার তালেবকে ডিফোর্স দিয়ে বাবার বাড়ি কমরদহ গ্রামে চলে আসেন।
বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তালেব নার্গিস আক্তারের বাড়ি যান। এ সময় নার্গিসের মুখে এসিড মেরে দ্রুত পালিয়ে যান তালেব। নার্গিসের চিৎকারে পরিবারের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে নাটোর বনপাড়া হেলথ কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
খবর পেয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার দিন গতকাল রাত ১০টার দিকে উপজেলার মৌখড়া থেকে আবু তালেবকে আটক করা হয়। আজ সকালে বড়াইগ্রাম থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
বনপাড়া হেলথ কেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক আমানউল্লাহ আমানত জানান, বাজারে বিভিন্ন ধরনের এসিড পাওয়া যায়। যে এসিড ছোড়া হয়েছে তা চামড়ার খুব ক্ষতি না করলেও চোখ দুটোর ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, তালেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে মামলাগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।