ডিভোর্স নিয়ে এবার যে তথ্য দিলেন সিদ্দিকুরের স্ত্রী

অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান ও তার স্ত্রী মডেল মিমঅভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান ও তার স্ত্রী মডেল মিমের সংসারিক ঝামেলা নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই গণমাধ্যমে বেশ লিখালিখি চলছে। মিম নিজেও বিচ্ছেদ নিতে চান বলে জানিয়েছিলেন গণমাধ্যমে।

সেই শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে মিম তার ফেসবুক মাইডে তে টিপ সই দেয়া আঙ্গুলের ছবি পোস্ট করেন। আর ক্যাপশনে লিখেন, তালাক দিয়ে দিলাম, আজ থেকে আমি তোমার বউ না, তুমি আমার স্বামী না। আর এরপর থেকেই শুরু তাদের ডিভোর্স নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হতে থাকে।

বিষয়টি নিয়ে মিমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আসলে আমি মজা করে মাইডে দিয়েছিলাম।কিন্তু যারা নিউজ করেছে তারা আমার সাথে কথা না বলে করে ফেলেছে।

ডিভোর্সের মত বিষয়টি নিয়ে মজা কথা কতটুকু যৌক্তিক জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে আমি না বুঝেই ছবিটি দিয়েছিলাম। আমি বুঝতে পারিনি যে এমন পরিস্থিতি দাঁড়াবে।

এর আগে মিম গণমাধ্যমেক জানিয়েছিলেন, শুধু মিডিয়ায় কাজের বিষয় নয়, সিদ্দিকের সঙ্গে ঘর ভাঙার শতশত কারণ আছে। যেগুলো এতদিন আমি সহ্য করেছি। যা এখন আর সহ্য করতে পারছি না। এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা বললে গ্রেফতার হবেন সিদ্দিক।

২০১২ সালের ২৪ মে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্পেনের নাগরিক মারিয়া মিমকে বিয়ে করেন সিদ্দিক। ২০১৩ সালের ২৫ জুন তারা পুত্রসন্তানের বাবা-মা হন।

এদিকে সিদ্দিকুর গণমাধ্যমকে জানান, ঝামেলার সূত্রপাত মারিয়ার একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করাকে কেন্দ্র করে। মারিয়া সেই বিজ্ঞাপনে কাজ করতে চাইলেও সিদ্দিকুর তাকে বাঁধা দেয়। যদিও সেই বিজ্ঞাপনে আর মারিয়ার কাজ করা হয়নি। এরপর থেকেই তাদের সাংসারিক কলহ বাড়তে থাকে। সেই জেরেই ঈদের সময় বাড়ি গিয়ে আর না ফিরে তালাক চাইছেন স্ত্রী।

স্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ নিয়ে সিদ্দিকুর বলেন, ছেলেটার দিকে তাকিয়ে দিনের পর দিন সহ্য করেই যাচ্ছি। কিন্তু সব কিছুর তো একটা শেষ আছে। যেহেতু বিচ্ছেদ হচ্ছেই, অনেক কিছু প্রকাশ্যে নিয়ে আসবো। সংবাদ সম্মেলন করে সব জানাবো।

মিমের অভিযোগ, ‘বিয়ের পর সিদ্দিক আমাকে সব কাজ ছেড়ে দিতে বলে। আমি তার সব কথা মেনে নিতাম- যদি সে আমাকে মানসিকভাবে শান্তি দিতো এবং ভালোবাসতো। আমি এতদিন সবকিছু সহ্য করে গেছি। এখন বুঝতে পারছি- জোর করে কিছু হয় না। অন্তত সংসার, সম্পর্ক, ভালোবাসা।’

মারিয়া মিম বলেন, ‘আমার কাছে প্রমাণ আছে একাধিক মেয়ের সঙ্গে ওর সম্পর্ক রয়েছে। মাঝে মধ্যে প্রায় সারারাত বাইরে কাটিয়ে বাসায় ফিরতো। বাসায় ফিরে ছেলের ঘুম ভাঙাতো। আমাকে সে মোটেও সময় দিতো না। বাইরেই যখন তার এতো কাজ তাহলে তো স্ত্রীর কোনো দরকার নেই।’

Write a Comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *