জুমবাংলা ডেস্ক : সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়েছে ১০ টাকা। দফায় দফায় ডিমের দাম বৃদ্ধি অস্বস্তিতে ফেলেছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে সবজিও। তবে আনার ও আপেল ছাড়া অন্যান্য ফলের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
রাজধানীর বসুন্ধরা, মালিবাগ, কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গতকাল মুরগির ডিম ডজন প্রতি বিক্রি হয়েছে ১৪৫ টাকা, যা আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৩৫ টাকা দরে। তবে দাম বেশি বেড়েছে হাঁস ও দেশী মুরগির ডিমের। গত সপ্তাহে ১৬৫ টাকায় প্রতি ডজন বিক্রি হলেও গতকাল তা ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হয়েছে। তবে এ দাম দোকানভেদে কিছুটা কমও দেখা গিয়েছে।
বসুন্ধরা আবাসিকের কাঁচাবাজারে ঢ্যাঁড়স, পটোল, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, করলা, কাঁকরোল, চিচিঙ্গাসহ অন্যান্য সবজি ৬০ টাকার কমে কিনতে পারছেন না ক্রেতারা। কিছুটা ভিন্নতা দেখা গিয়েছে কচুর লতি, ওলকচু, জালি কুমড়া ও বরবটিতে। এসব সবজির দাম প্রায় ১০০ টাকার কাছাকাছি। লম্বা জাতের বেগুন ৭০ টাকা, গাজর ১৮০ টাকা, গোল বেগুন ১৪০ টাকা, টমেটো ১৪০টাকা কেজিতে বিক্রি করছে।
খাসির মাংসের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকা। আগের সপ্তাহে ৮৫০ টাকা দরে বিক্রি হলেও গতকাল তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কেজিপ্রতি ৯৫০ টাকা। গরুর মাংসের দাম আগের অবস্থায় রয়েছে। হাড় ছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৮০০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৭০ টাকা।
ঊর্ধ্বমুখী দাম মাছের বাজারেও। তেলাপিয়া মাছের দাম কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। চিংড়ি ও রূপচাঁদা মাছের দাম অতিরিক্ত বলে অভিযোগ করেছেন মালিবাগ বাজারের ক্রেতারা। ইলিশের দাম আগের মতো থাকলেও বাজারে তুলনামূলক কম সরবরাহ দেখা গিয়েছে।
বোতলজাত তেল বিক্রি হয়েছে আগের দামেই। এদিকে নাটোর ও কুষ্টিয়া থেকে আসা নতুন গুড়ের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। এছাড়া ফলের বাজার অনেকটা আগের মতো থাকলেও লাগামহীনভাবে বেড়েছে আনারের দাম। ৩৮০ টাকা কেজির আনার বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। আপেলের দাম ৩০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২৮০ টাকা। দেশী ফলের মধ্যে পেয়ারা, পেঁপে, ডাব, তরমুজ, আমড়া, জাম্বুরা বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকার মধ্যে।
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে পণ্যের মূল্যে তারতম্য দেখা গিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান বণিক বার্তাকে বলেন, মূল্য নির্ধারণের বিষয়টা আমাদের হাতে নেই। তবে আমরা মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য ১১টি সুপারিশ করেছি। যার পরিপ্রেক্ষিতে কাজী ফার্মসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কোনো বিক্রেতার বেশি মূল্যে পণ্য বিক্রির অভিযোগ পেলে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।