বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন দাবি করছে যে, ডিম, ফিড ও মুরগির বাজারকে ঘিরে অসাধু ব্যবসায়ী চক্র গড়ে উঠেছে। এ চক্র এ পর্যন্ত ৯৬০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে। এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই কথা প্রকাশ করে। এ অসাধু চক্রকে রুখে দেওয়ার জন্য সরকারি নজরদারি দরকার।
বর্তমানে ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। সোনালি মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়। মুরগি কেনার ক্ষেত্রে বাড়তি খরচ পোহাতে হচ্ছে, তাই অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে বিক্রেতারা ।
একজন বিক্রেতা বলেন, ‘ব্রয়লারের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে অনেক বেশি। গত সপ্তাহে ১৮০ টাকা বিক্রি করছি। এ সপ্তাগে ২০০ টাকা বিক্রি করছি। সোনালি মুরগিও সেমই, বাড়তি।’
মুরগির বাচ্চার ক্ষেত্রেও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর সরকার মুরগি বাচ্চার দাম নির্ধারণ করে দেয় ৩০-৩৫ টাকা। এরপর অসাধু ব্যবসায়ীরা মুরগির বাচ্চার উৎপাদন কমিয়ে দেয়। পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, কোম্পানিগুলো মুরগির বাচ্চা ৭০ থেকে ৮৫ টাকা এবং কখনো কখনো ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি করছে।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, ‘যেহেতু কখনও ৪০ টাকা নিচ্ছে, তখনও ২০ টাকা নিচ্ছে, কখনও বা ৩০ টাকা নিচ্ছে। গত সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত একটি বাচ্চায় তারা ৪০ টাকা করে বেশি নিচ্ছে। আমরা গড়ে ২০ টাকা বেশি ধরেছি। আমাদের ৮ কোটি বাচ্চা উৎপাদন হয় প্রতি মাসে। সেখানে ১৬০ কোটি টাকা দাঁড়ায়। গত ৬ মাসে ৯৬০ কোটি টাকা, আমরা এটা জাস্ট হিসাব দিয়েছি। সরকার এটাকে তদন্ত করুক।’
সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ঈদের পর ডিম ও মুরগির দাম আবারো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা খাত সংশ্লিষ্টদের। সুমন হাওলাদার বলেন, ‘তারা ঠিকই লাভ করছে। আমাদের প্রান্তিক খামারির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছে। ঠিক ঈদের পরে দেখতে পারবেন ডিমের বাজার আবার অস্থির হয়ে যাবে। মুরগির বাজার আবার অস্থির হয়ে যাবে।’
সংবাদ সম্মেলনে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, বাজার মনিটরিং, ন্যায্য মূল্যে ফিড ও বাচ্চা সরবরাহ নিশ্চিত করাসহ ৬ দফা দাবি জানায় পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।