জুমবাংলা ডেস্ক : ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন ২২ বছরের তরুণী মীর মনিরা। জেলা প্রশাসকের পরিচয় ব্যবহার করে তৈরি করেন বিভিন্ন ডকুমেন্ট। ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে তা প্রচার করেন।
মনিরা ও তার ৭ বন্ধু মিলে এমন পরিকল্পনা করে একটি ম্যাসেঞ্জারে ফটোশপের মাধ্যমে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করতে থাকেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেনের বাসভবনে জিজ্ঞাসাবাদে এ সব কথা স্বীকার করেন মীর মনিরা।
এ ঘটনায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার এনডিসি মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। রাতেই আসামি মীর মনিরাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মনিরা কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়া এলাকার মীর মিজানুর ইসলামের মেয়ে। তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসককে অবগত করেন মীর মনিরা নামে একজন ব্যক্তি কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন ডকুমেন্ট তৈরি করেছেন।
এ সব ডকুমেন্ট বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে প্রচার করছে। বিষয়টি বিভাগীয় কমিশনার বিএমডিসির সভাপতি প্রফেসর মো. শহিদুল্লাহর কাছ থেকে জানতে পেরেছেন বলে জানান।
তাৎক্ষণিক কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বিএমডিসির সভাপতির সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেন।
এ সময় শহিদুল্লাহ জানান, উক্ত ম্যাসেজগুলো তার ভাগনে ইকবাল হোসেন শামীমের কাছ থেকে পেয়েছেন। মীর মনিরা তার কাছে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক হিসেবে একটি প্রেস রিলিজ পাঠান। ডিসি পরিচয় দিয়ে মীর মনিরা বিভিন্ন সময়ে মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
এ সব বিষয় বিএমডিসির সভাপতি বিষয়টি খুলনা বিভাগীয় কমিশনারকে অবগত করেন। পরে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার বিষয়টি কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোবাইলের মাধ্যমে ইকবাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করে মীর মনিরাকে তার কার্যালয়ে আনতে বলেন। পরে জেলা প্রশাসক গাড়ি পাঠালে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের বাসভবনে আসেন ইকবাল হোসেন ও মীর মনিরা।
এ সময় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফুন্নাহার আলাদাভাবে মীর মনিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, আইসিটি আইনে মামলায় ওই তরুণীকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।