জুমবাংলা ডেস্ক: ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), ইউনিয়ন অব চেম্বারর্স এন্ড কমোডিটি এক্সচেঞ্জস্ (টব) ও ডি-৮ চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডি-৮ সিসিআই) যৌথ আয়োজনে গতকাল (৫ এপ্রিল) ডি-৮ বিজনেস ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফোরামটি বাণিজ্য, বিনিয়োগ, খনিজ সম্পদ, পর্যটন, আইসিটি, জলবায়ু এবং রোহিঙ্গা ইস্যুগুলিকে কেন্দ্র করে আগামি ৮ই এপ্রিল ২০২১ অনুষ্ঠিতব্য দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আবদুল মোমেন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের বাণিজ্যমন্ত্রী মি. রুহজার পেকান।
অনুষ্ঠানের প্লেনারি সেশন এবং ব্রেকআউট সেশন সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআই এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহফুজুল হক এবং ব্রেকআউট সেশন সঞ্চালনায় ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট এর অধ্যাপক ও পরিচালক ড. সৈয়দ ফরহাত আনোয়ার।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জনাব মোঃ শাহরিয়ার আলম এমপি, ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্রের মাননীয় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জেরি সাম্বুআগা, ডি-৮-এর সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাম্বাসেডর দ্যাটো কু জাফর কু শারি গেস্ট অব অনার হিসেবে ফোরামে উপস্থিত ছিলেন।
ডি-৮ বিজনেস ফোরামে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
এ ফোরামের মাধ্যমে এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম ডি-৮ চেম্বারর্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ্ (ডি-৮ সিসিআই) এর নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত হন। ডি-৮ সিসিআই এবং টব প্রেসিডেন্ট রিফাত হিযারজিক্লোউলো এর কাছ থেকে তিনি দায়িত্ব গ্রহন করেন।
এটি বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন এভিনিউ তৈরি করবে যা বিশ্বব্যাপী এর সাফল্য ছড়িয়ে দিবে এবং বহিঃবিশ্বের সাথে এর সম্পর্ক আরও প্রসারিত করতে সহায়তা করবে।
অনুষ্ঠানে প্লেনারি সেশন অনুসরণ করে তিনটি ব্রেকআউট সেশন অনুষ্ঠিত হয় যেখানে ‘ডি -৮ এর মধ্যে প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের একীকরণ’ শীর্ষক প্রথম ব্রেক আউট সেশন অনুষ্ঠিত হয়, ‘যুব, এমএসএমইস এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম, অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধি’ শীর্ষক দ্বিতীয় ব্রেকআউট সেশনে এবং ”বøু-ইকোনমি, মেরিন বাযয়োটেকনোলজি অ্যান্ড রিসোর্স’ শিরোনামে তৃতীয় ব্রেকআউট সেশনে আলোচনা করা হয়।
এফবিসিসিআই’র সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম স্ট্রাটেজিক ডি-৮ ভ্যালু চেইন ইনিশিয়াটিভ নিয়ে কথা বলেন এবং বাংলাদেশের উত্পাদনশীল প্রতিযোগিতামূলক খাতকে অগ্রসর করে তোলার জন্য ডি-৮ এর সদস্য দেশগুলির স্ব-স্ব শিল্পের কাঁচামাল, জ্ঞান, দক্ষতার সাথে একে অপরের তুলনামূলক সুবিধাগুলি বাড়ানো, ডি-৮ বাজারে এবং তার বাইরে রফতানি করে সম্পদ এবং জ্ঞান আদান-প্রদানের উপর ভিত্তি করে গেøাবাল ইম্পিøকেশন সহ ডি-৮ ভ্যালু চেইনকে আরো উন্নত করার কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ডাঃ একে আবদুল মোমেন এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বাণিজ্য, সার্ভিস, বিনিয়োগ ও শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ, উদ্যোক্তা, কৃষি, আন্তঃআঞ্চলিক পর্যটন ইত্যাদি ক্ষেত্রে ডি-৮ দেশের মধ্যে উন্নয়নের জন্য সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডি-৮ দেশের বেসরকারী খাতের মধ্যে সহযোগিতার উপর জোর দেয়ার কথা বলেন।
বিজনেস ফোরামে বক্তারা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, ব্যবসা ও বিনিয়োগে উচ্চ-প্রযুক্তি গবেষণা, শুল্ক এবং নন-শুল্ক বাধা দূর করার ক্ষেত্রে ডি-৮ দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।
অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে ডি-৮ এর লক্ষ্য বিশ্ব অর্থনীতিতে সদস্য দেশগুলির অবস্থান উন্নত করার জন্য, বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনা এবং নতুন সুযোগ তৈরি করা, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি এবং জ্ঞান ভাগাভাগির মাধ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উপর বিশেষ মনোনিবেশের সাথে সহযোগিতা এবং অর্থবহ ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করেন। বক্তারা প্রযুক্তি-স্থানান্তর, এমএসএমই এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম, বøু ইকোনোমি, সামুদ্রিক জৈবপ্রযুক্তি এবং ডি-৮ দেশের অনÍর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধিতে সংস্থানসমূহের আরও বিকাশের জন্য পারস্পরিক সহযোগিতার উপর জোর দেন।
বব্যবসায়িক প্রক্রিয়া, প্রয়োগিক দক্ষতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিল্প একাডেমিক যোগসূত্র, ডি-৮ দেশগুলির প্রভাবকে একে অপরের মধ্যে এবং সর্বোপরি ভাগ করে নেওয়া, সংস্থান এবং জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে বাণিজ্য পুনুরুদ্ধারে সম্মত হন।
বক্তারা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উত্পাদন ও সরবরাহের সুবিধার্থে প্রযুক্তির উপর জোর দিয়েছিলেন। ফিন-টেক, এড-টেক, ক্লিন-টেক, স্বাস্থ্য-প্রযুক্তি, কৃষি-প্রযুক্তি, ই-কমার্স ইত্যাদির মতো ক্ষেত্রসমূহে বর্তমান প্রযুক্তির প্রবণতাগুলির প্রাধান্য রয়েছে। ডি-৮ সদস্য দেশগুলি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলির মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দক্ষতা বিকাশ শিল্পগুলিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।
এফবিসিসিআই এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মুনতাকিম আশরাফ ও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।